রামনগর ১ ব্লকের মৎস্য দপ্তরের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা ও বঙ্গীয় মৎস্য যোজনায় গাড়ি প্রদান।

0
23

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ১ ব্লকের মৎস্য দপ্তরের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা ও বঙ্গীয় মৎস্য যোজনায় গাড়ি প্রদান। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে মৎস্য জীবীদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ প্রকল্প। মৎস্য জীবীদের পাশে দাঁড়াতে আকর্ষণীয় ভর্তুকি সমেত নতুন প্রকল্প ‘বঙ্গ মৎস্য যোজনা’ রাজ্য সরকার এর। মাছ চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও প্রজেক্টে সাধারণ মৎস্য জীবীরা ৪০ শতাংশ এবং মহিলা, এসসি, এসটি সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা ৬০ শতাংশ ভর্তুকি পায়। মৎস্য জীবীদের জন্য এত বিপুল পরিমাণে সাবসিডি কোনও প্রকল্পে নেই। তাই বঙ্গ মৎস্য যোজনা রাজ্যের মৎস্য জীবীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় প্রকল্প হতে চলেছে বলে মৎস্য দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। ব্লক থেকে যেসব আবেদন আসবে সেগুলি খতিয়ে দেখে অনুমোদন করে এক বিশেষ কমিটি। ওই প্রকল্পে মৎস্য জীবীরা বিপুল পরিমাণ সরকারি ভর্তুকি নিয়ে নতুন প্রজেক্ট বানাতে পারবেন। আজ রামনগর ১ ব্লক এর ১৬ জন উপভোক্তার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। মহিলা ও ১০ জন পুরুষ উপভোক্তার হাতে এই পরিষেবা প্রদান করা হয় ও তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়।
নিজস্ব শেয়ার বাবদ মৎস্যজীবী ব্যাঙ্কঋণ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডে সহজশর্তে কম সুদে ঋণ পাবেন। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে একজন মৎস্যজীবী দু’দিক থেকে সুবিধা পাবেন। প্রথমত, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি সাবসিডি। দ্বিতীয়ত, ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে কম সুদে ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা।
বঙ্গ মৎস্য যোজনায় মাছ চাষের জন্য পরিকাঠামো বানানো হবে। মাছ চাষের জন্য জলাশয় তৈরি ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট রয়েছে। উপভোক্তা সাধারণ ক্যাটাগরি ভুক্ত হলে ১০ লক্ষ টাকা ভর্তুকি পাবেন। উপভোক্তা মহিলা, এসসি কিংবা এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত হলে এককালীন ১৫লক্ষ টাকা ভর্তুকি পাবেন। বায়োফ্লক, নোনা জলে মাছ চাষের জন্য ভেড়ি, রঙিন মাছ চাষ, মাছ বিক্রির জন্য আইসবক্স সমেত মোটর সাইকেল, সাইকেল, তিন চাকার গাড়ি, মাছের খাবার তৈরির মিল, মাছের চারা তৈরির প্ল্যান্ট, মোটর চালিত ভেসেল, মাছ ধরার জাল কেনা সহ নানারকম প্রজেক্ট ওই স্কিমের সুবিধা নিয়ে করা যাবে।
দেশের আর্থিক উন্নয়নে মৎস্য চাষ একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র। ভারত নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় মৎস্য চাষে উন্নতির সম্ভাবনা প্রবল। সেই বিষয়টিকে বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।