কলকাতা থেকে ওলা ক্যব ভাড়া করে গাড়ি ছিনতাই করে পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিলেও শেষ রক্ষা হল না, বাঁকুড়া পুলিশের জালে আন্ত:রাজ্য গাড়ি পাচার চক্র।

0
24

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  কলকাতা থেকে ঝালদা যাওয়ার নাম করে নামী ক্যব সংস্থার গাড়িতে উঠেছিল তিন দুস্কৃতি। নিখুঁত পরিকল্পনা মতো রাস্তার মাঝে ক্যবের চালকের সর্বস্ব লুঠ করে চালকের হাত পা বেঁধে ফেলে রেখে গাড়ি নিয়ে পড়শি রাজ্যে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা। তদন্তে নেমে বিহার থেকে খোয়া যাওয়া গাড়ি উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হল আন্ত:রাজ্য গাড়ি পাচার চক্রকে।

জানা গেছে গত ১৭ মার্চ কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকা থেকে পুরুলিয়ার ঝালদা যাওয়ার নাম করে একটি নামী সংস্থার ক্যব বুক করে তিন যুবক। ক্যব নিয়ে সম্রাট মিশ্র নামের এক ক্যব চালক হাজির হলে তিন যুবক তাঁর গাড়িতে চড়ে ঝালদার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। অভিযোগ গাড়ি নিয়ে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার বিহারীনাথের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই গাড়ির ওই তিন যাত্রী ক্যব চালককে ছুরি দেখিয়ে দুটি মোবাইল ও নগদ টাকা সহ ক্যব চালকের সর্বস্ব লুঠ করে নেয়। এরপর ক্যব চালকের হাত পা বেঁধে দড়ি দিয়ে ফেলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তিন দুস্কৃতি। পরের দিন ওই ক্যব চালক শালতোড়া থানার দ্বারস্থ হয়ে শালতোড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে বিহারের গিরিডি থেকে সঞ্জিত কুমার রবিদাসকে গ্রেফতার করে। যে তিনজন যাত্রী গাড়ি চুরি করেছিল এই সঞ্জিত কুমার রবিদাস ছিল তাদের অন্যতম। সঞ্জিত জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ক্যব বুকিং এর জন্য যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল সেই নম্বরের সিম কার্ড সরবরাহ করেছিল বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা বিকাশ কুমার ও বিজয় কুমার। বিকাশ ও বিজয়কে গ্রেফতারের পাশাপাশি খোয়া যাওয়া গাড়ি উদ্ধারে কোমর বেঁধে নামে তদন্তকারীরা। নিজস্ব একাধিক সূত্র ও জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জিত কুমার রবিদাসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে গতকাল শালতোড়া থানার পুলিশ হানা দেয় বিহারের পুর্ব চম্পারণ জেলায়। সেখানে বিকাশ সাহানি নামের স্থানীয় এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে শালতোড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বিকাশ সাহানি মোটা টাকার বিনিময়ে খোয়া যাওয়া গাড়িটি কিনেছিল চোরাচালান চক্রের কাছে। ধৃতকে আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করছে পুলিশ। পুলিশের দাবী এখনো পর্যন্ত গাড়ি চুরি ও চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনার কিং পিন সহ অন্যান্যদের খোঁজ চলছে।