মিড ডে মিলে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধর।

0
31

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—– মিড ডে মিলে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই সহকারী শিক্ষক ও স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এবার জেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করলেন প্রধান শিক্ষক।
এই নিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের
করিয়ালি সার্কেলের দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হক কে গত ২৭ জুন স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরে ডেকে তাকে চেয়ার দিয়ে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল ওই স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম ও ভাস্কর মন্ডলের বিরুদ্ধে।সবটাই স্কুল পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের ষড়যন্ত্রে ও উস্কানিতে হয়েছিল বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের।সেই থেকে আতঙ্কে স্কুল যেতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক।তাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চেয়ে ও নিজের নিরাপত্তার দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।মালদহের অতিরিক্ত জেলা শাসক(জেলা পরিষদ)জামিল ফাতিমা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল বলেন, আমার প্রধান শিক্ষক হওয়ার পাঁচ মাস হল।এর পূর্বে দুই বছর ধরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন সফিকুল ইসলাম।সেই সময় তিনি মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন।সেই দুর্নীতি চাপা দিতে আমাকে বারবার হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। এমনকি আমাকে মিড ডে মিলে দুর্নীতি করার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে।আর তাতে মদত দিচ্ছেন ওই সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক মনিরুল।প্রধান শিক্ষক আরো বলেন,পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। অর্ধেক বেতন চালু করার জন্য স্কুল পরিদর্শন মনিরুল অন্য স্কুলের এক শিক্ষকের মাধ্যমে আমার কাছ থেকে দুই দফায় ১২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।আমি গোপনভাবে সেই ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছিলাম।সেই থেকে স্কুল পরিদর্শক ষড়যন্ত্র করে আমাকে হেনস্থা করছে।যদিও স্কুল পরিদর্শন তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষক সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ করে তাদের নাম বদনাম করার চেষ্টা করছে।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল বলেন,আমি স্কুলে গিয়ে দুই পক্ষকে ডেকে মিড ডে মিলের সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিলাম।আবার নতুন ভাবে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক।বিষয়টি দেখছি।