আশঙ্কা সত্যি হল বালুরঘাটের আত্রেয়ী কলোনির বাসিন্দাদের।

0
51

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ : – আশঙ্কা সত্যি হল বালুরঘাটের আত্রেয়ী কলোনির বাসিন্দাদের। নদীর জল ঢুকে পড়েছে ঘরে. অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে পাঁচটি পরিবার। নদীর জল বেড়ে বর্তমানে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। সেচ দপ্তরের তরফে স্লুইস গেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ শিবির করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সব রকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।

গত এক সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে বালুরঘাটে। বৃষ্টির পরিমাণ ৩০০ মিলিমিটার পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে নদীতে বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণে জল আসছে। নদী সংযুক্ত খাঁড়ি ফুঁসছে। সদরঘাটের একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে উঁচু জায়গায় ফরওয়ার্ড ব্লকের একটি দপ্তরে মাথা গুঁজেছেন। কলোনির পূর্ব প্রান্তের শতাধিক পরিবার বন্যার আতঙ্কে ভুগছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় আটটি বাড়িতে জল ঢুকেছে। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে সাহেব কাছারি মনিমেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতালায় স্থান দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকে জল বাড়তে শুরু করে নদীতে। বিকেল থেকেই ঘরে জল ঢুকতে শুরু করে। এদিন রাতেই তারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে বাধ্য হয়। পুরসভার তরফে তাদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে আলো ও ফ্যানের সমস্যা রয়েছে বলে তারা জানান। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তারা শুকনো খাবার পাননি বলে জানিয়েছেন। রঘুনাথপুরের অত্রি কলোনিতেও রাতে জল ঢুকেছে। যেখানে পরিদর্শনে যান চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যেই পাম্প সেট ব্যবহার করে জল বের করে দেওয়া হচ্ছে।

বর্নাত রা জানান ‘চারজনের পরিবার নিয়ে উঁচু জায়গায় অস্থায়ী আস্তানা গেড়েছি। ঘরে জল থৈ থৈ। ঘরের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’ মনিমেলা শিবিরে থাকা স্বপন বাসফোরের দাবি, ‘রবিবার রাতে আমরা পাঁচটি পরিবার এখানে এসেছি। এলাকায় ক্রমশ জল বাড়ছে। এখনও আমাদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়নি।’

বালুরঘাট সেচ দপ্তরের আধিকারিক অঙ্কুর মিশ্র বলেন, ‘নদীর জল বিপদ সীমার খুব কাছে চলে এসেছে। যেখানে বিপদসীমা ২২.৫ মিটার নির্ধারিত। সেখানে নদীর জল ২২.১ মিটার। জল বৃদ্ধির মান ঊর্ধ্বমুখী। বৃষ্টিপাতের উপরে সমস্তটা নির্ভর করছে। আমরা স্লুইস গেট বন্ধ করে দিয়েছি।’

বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান মোবাইলে জানান, আত্রেয়ী কলোনির বাসিন্দাদের শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হবে। অত্রি কলোনিতে পাম্প দিয়ে জল বের করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’