বিদ্যুতের এগারো হাজার ভোল্টের হাই টেনশন তারের সঙ্গে এল টি তারের সংস্পর্শে এসে ঘটে গেল বিপত্তি।

0
36

নিজস্ব সসংবাদদাতা, মালদাঃ- —বিদ্যুতের এগারো হাজার ভোল্টের হাই টেনশন তারের সঙ্গে এল টি তারের সংস্পর্শে এসে ঘটে গেল বিপত্তি।পুড়ে গেল মিটারের তার,একাধিক বাড়ির ইলেকট্রিক ফ্যান,রেফ্রিজারেটর,লাইট ও মোটর সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সামগ্রী।ফোন করার তিন ঘণ্টা দেরিতে আসায় মোবাইল ভ্যান সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বনসরিয়া গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বনসরিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে প্রায় ১৫ টি বাড়ি।মাঠের ট্রান্সফরমার থেকে তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।অভিযোগ,দীর্ঘ সাত বছর ধরে বিদ্যুৎতিক শর্টশার্কিটের কারণে তারা সুষ্ঠভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছেন না।
সামান্য বৃষ্টিতে শর্টশার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।হরিশ্চন্দ্রপুর বিদ্যুৎ দপ্তরকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না।বুধবার বিদ্যুতের এগারো হাজার ভোল্টের হাই টেনশন তারের সঙ্গে এল টি তারের সংস্পর্শে এসে শর্টশার্কিট হয়ে একটি বাড়ির মিটারের তার ছিঁড়ে যায়।পাশাপাশি ১৫ টি বাড়ির ৩০ টি ফ্যান,দুটি রেফ্রিজারেটর,চারটি মোটর ও একাধিক লাইট পুড়ে যায়।আহত হয় বছর দশের এক শিশু।এই নিয়ে এদিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।বাড়ি ছেড়ে সকলে রাস্তায় চলে আসেন।তাই তারা এদিন পৃথক ট্রান্সফর্মার দাবিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ তুলে নেন।স্থানীয় বাসিন্দা কাজলি খাতুন বলেন, এদিন এগারোটা নাগাদ আমার দিদির বাড়ির মিটারের তার পুড়ে আঙিনায় পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বাড়ির এক দশ বছরের শিশু বিদ্যুৎতিক শক লেগে যায়।এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলতে পারছে না। বাড়ির সবকিছু পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।পৃথক ট্রান্সফরমার না বসালে এর সমাধান কোনদিন সম্ভব না।রঞ্জন দাস নামে আরো এক বাসিন্দা বলেন, তিনমাস থেকে আমরা শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারছি না।মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ ফল্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্যান খুলে বিছানায় পড়ে যাচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।আমরা পৃথক ট্রান্সফর্মার দাবি করছি।হরিশ্চন্দ্রপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার প্রদীপ দাস বলেন, তারের উপরে পাখি বসার কারণে এই শর্টশার্কিট হয়েছে।আমরা দ্রুতার সঙ্গে সমাধান করার চেষ্টা করছি।