শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী : এক সাহস ও প্রত্যয়ের জীবনের কথা।

0
23

শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তি যিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সাংবাদিকতায় একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছেন। 12 জুলাই, 1869 সালে, বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন, তিনি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, দেশপ্রেমিক এবং বক্তা ছিলেন। তাঁর জীবন ছিল সত্য ও স্বাধীনতার প্রতি তাঁর অটল অঙ্গীকারের প্রমাণ।

প্রারম্ভিক জীবন এবং কর্মজীবন

শ্যামসুন্দর হরসুন্দর চক্রবর্তীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ছোটবেলা থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি বিপ্লবী দল অনুশীলন সমিতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং এর আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, তিনি একজন শিক্ষক হন এবং পরে কলকাতায় চলে আসেন, যেখানে তিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন।

সাংবাদিকতা পেশা

শ্যামসুন্দরের সাংবাদিকতা কর্মজীবন তার নির্ভীক এবং তীক্ষ্ণ রিপোর্টিং দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি বাংলা দৈনিক “প্রতিবেশী” এর সম্পাদক ছিলেন এবং পরবর্তীতে “মানুষ ও প্রতিবেশী” নামে তার নিজস্ব সংবাদপত্র চালু করেন। তিনি “বন্দে মাতরম” এবং “দ্য সার্ভেন্ট” সহ অন্যান্য বিশিষ্ট সংবাদপত্রের সাথেও যুক্ত ছিলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রাম

শ্যামসুন্দর স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং তাঁর লেখা জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি তার লেখার জন্য ব্রিটিশদের দ্বারা বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন এবং এমনকি এক বছরের জন্য মান্দালেতে নির্বাসিত হন। মুক্তির পর তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লিখতে ও কথা বলতে থাকেন।

উত্তরাধিকার

শ্যামসুন্দরের উত্তরাধিকার তার সাহস ও প্রত্যয়ের প্রমাণ। তিনি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং সত্যের একজন চ্যাম্পিয়ান ছিলেন এবং তার লেখাগুলি ভারতীয়দের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন এবং “থ্রু সলিটিউড অ্যান্ড সরো” এবং “মাই মাদারস ফেস” সহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন।

উপসংহার

শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর জীবন ছিল সাহস ও প্রত্যয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সত্য ও স্বাধীনতার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, এবং তাঁর উত্তরাধিকার ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে রয়ে গেছে।