বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিস্তীর্ণ এলাকায় একটিমাত্র প্রাথমিক স্কুল আর সেই স্কুলেতেই বাচ্চাদের পাঠাতে হয় বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের কিন্তু স্কুলে শিক্ষক বলতে একজনই, তবুও তাঁর ভরসাতেই স্কুলে পাঠাতে হয় অভিভাবকদের কারণ ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া আশেপাশে আর কোন স্কুল নেই অথচ স্কুলের পঠন-পাঠন, মিড ডে মিলের খাওয়া দাওয়া সমস্ত দায়িত্ব একজন শিক্ষকের উপরি আর সেই শিক্ষক অসুস্থার কারণে ছুটিতে থাকায় বন্ধের মুখে স্কুল, এমতাবস্থায় এসআই বাঁকুড়া নিজেই অবতীর্ণ হলেন স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায়, কিন্তু কেন এমন অবস্থা সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান – এই বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন আছে সেটা জানিয়ে আমার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে, শিক্ষকের ব্যবস্থা তো আমি করতে পারিনা যেটা পারি সেটা নিজে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে আর সেটাই করতে এসেছি যাতে শিক্ষাদান থেকে বঞ্চিত না হয় আগামীর ভবিষ্যতেরা। এস আই সাহেবের মহৎ মানসিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে কিন্তু এ ব্যাপারে কি ভাবছেন সরকার বাহাদুর ?
এরকম তো বহু স্কুল আছে যেখানে শিক্ষকের অভাবে পঠন পাঠন শিখেই উঠেছে, বাধ্য হয়ে বহু অভিভাবক ছেলেমেয়েদের পাঠাচ্ছে বেসরকারি স্কুলে কিন্তু সেই অবস্থা সবার নেই, –তাহলে কি সেই সমস্ত বাড়ির ছেলে মেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে ?
সব জেনেও কেন ব্যবস্থা করছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ’,-উঠছে প্রশ্ন। এলাকাবাসীদের দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ হোক আর একজন শিক্ষক কিন্তু তারপরও কি নিরব থাকবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ?