নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—বন্যাভয় নয় ভাঙ্গন আতঙ্কে আতঙ্কিত গোপালপুরবাসীর।বর্ষার মরশুমে বেশ কয়েকদিন ধরেই গঙ্গা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। মুহূর্তের মধ্যে জমি গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাচ্ছে। মালদার মানিকচকের ভূতনি এলাকায় কোশি ফুলহরের তাণ্ডব শেষ হতে না হতেই গঙ্গা নিজের ভাঙ্গন লীলা দেখাচ্ছে গোপালপুরবাসীদের। গোপালপুর অঞ্চলের কামালতিপুর, ঈশ্বর টোলা, সহবতটোলা, উত্তর ও দক্ষিণ হুকুমত টোলায় দিবা নিশি ভাঙ্গন হচ্ছে। এর মধ্যে কামালতিপুর ভাঙ্গনে বেশী জর্জরিত। কামালতীপুর এলাকা মানিকচক ব্লকের শেষ প্রান্ত। জলস্ফীতি বন্যার ভয় রয়েছে। কামালতিপুর গ্রাম থেকে প্রায় শো খানেক মিটার দূরে গঙ্গা নিজের ভাঙন লীলায় মেতে উঠেছে। স্থানীয়রা রাতে ঘুমোতে পারছেন না। কখন জানি তাদের ঘর বাড়ি নদী বক্ষে চলে যায়।ভয় ভিটেমাটি হারানোর।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ নাসিরুদ্দিনের বক্তব্য,’ দিনরাত গঙ্গা ভাঙ্গন হচ্ছে। ভাঙ্গনে আমরা আতঙ্কিত। রাতে দিনে কখনোই ঘুমোতে পারি না। আমাদের সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বসবাসের ভিটে টুকু রয়েছে। ভাঙ্গনের যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে যে কোন মুহূর্তে বসত বাড়ি ও নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। সরকার আমাদের ব্যবস্থা করুক।
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাকিরুদ্দিনের বক্তব্য,’ গোপালপুরে ব্যাপক ভাঙ্গন হচ্ছে।সকলে আতঙ্কিত। গত মাসের ২০ তারিখে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। তাতে আগামী বছর বালুটোলা এলাকায় যে ধরনের গঙ্গা ভাঙ্গনের কাজ হয়েছে সেই ধরনের কাজ কামালতিপুর পর্যন্ত করা হবে। আমাদের রাজ্য সরকার গঙ্গা ভাঙনের জন্য পদক্ষেপ নিলেও কেন্দ্র সরকার কিছুই করছে না। তবে আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাঙ্গন কবলিতদের পাশে দাঁড়ালে খুব ভালো হয়।