“আজ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। 63 বছর আগে, বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্র নাথ দাস রাজনৈতিক বন্দীদের অধিকারের দাবিতে কারাগারে 63 দিনের অনশন শুরু করেছিলেন। দাসের সাহসী কাজটি তার অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ ছিল। ভারতের স্বাধীনতার কারণ এবং প্রতিকূলতার মুখে তাঁর নিরলস চেতনা।
যতীন্দ্র নাথ দাস ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি তার নির্ভীকতা এবং কারণের প্রতি উৎসর্গের জন্য পরিচিত। 1904 সালে বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন, দাস অল্প বয়সে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং শীঘ্রই ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মির সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তার কার্যকলাপের জন্য তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু প্রতিবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বা কারাগার থেকে মুক্তি পায়।
1929 সালে, দাসকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি তার ঐতিহাসিক অনশন শুরু করেন। এই ধর্মঘট ছিল ব্রিটিশ কারাগারে রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং তাদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করার প্রতিবাদ। দাসের দাবির মধ্যে রয়েছে উন্নত জীবনযাত্রা, বই ও সংবাদপত্রের অ্যাক্সেস এবং নিজেদের পোশাক পরার অধিকার।
দাসের অনশন 63 দিন ধরে চলে, এই সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল। তার দুর্বল অবস্থা সত্ত্বেও, দাস রাজনৈতিক বন্দীদের অধিকারের পক্ষে ওকালতি করতে থাকেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের জন্য আরও অগণিতকে অনুপ্রাণিত করেন। তার আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প অবশেষে ব্রিটিশ কারাগারে রাজনৈতিক বন্দীদের চিকিৎসায় কিছু সংস্কারের দিকে পরিচালিত করে।
দাসের উত্তরাধিকার তার অনশনের বাইরেও প্রসারিত। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন। তার সাহস এবং আত্মত্যাগ ভগত সিং এবং সুখদেব সহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল, যারা লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিল।
আজ যেমন আমরা যতীন্দ্র নাথ দাসের ঐতিহাসিক অনশনের কথা স্মরণ করি, তেমনি মনে করিয়ে দিচ্ছি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা। তাদের সাহসিকতা এবং সংকল্প ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিল এবং তাদের উত্তরাধিকার আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। আমরা দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার সাথে সাথে রাজনৈতিক বন্দীদের অধিকার সমুন্নত রাখার এবং তাদের কণ্ঠস্বর শোনার বিষয়টি নিশ্চিত করার গুরুত্বের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছি।
উপসংহারে, যতীন্দ্র নাথ দাসের 63 দিনের অনশন ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত। তার সাহস এবং আত্মত্যাগ আমাদের আজও অনুপ্রাণিত করে, এবং তার উত্তরাধিকার আমাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের গুরুত্বের অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে। আমরা তার স্মৃতিকে আরও ন্যায়পরায়ণ এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার দ্বারা সম্মান করি, যেখানে সকলের অধিকার সম্মানিত এবং সুরক্ষিত হয়।”