অন্ধ অস্পৃশ্যতা দূর করতে স্বর্গ রথের স্টিয়ারিং বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা মন্ডলের হাতে।

0
17

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  গুরুত্বপূর্ণ বাহন অথচ ড্রাইভার পেতে নানান সমস্যা। শব বহনকারী গাড়িটি সকলেই দেখতো অবহেলার চোখে, কিন্তু মৃতদেহ এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গাতে নিয়ে যেতে হলে আগে সেই গাড়িটির প্রয়োজন পড়তো অথচ ড্রাইভার পাওয়াটা যেন দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় ওই স্বর্গ রথের মালিকের এক ছাত্রী সমস্যাটা অনুধাবন করেন এবং তিনি মনস্থির করেন যদি এই স্বর্গ রথের ড্রাইভার তিনি হতে পারেন তবে তার স্যার এবং সমাজ অনেক উপকৃত হবে। যেমন ভাবনা চিন্তা তেমনি কাজ, তিনি শুরু করেন ড্রাইভিং শেখা এবং ধীরে ধীরে তৈরি হয় শেষ পর্যন্ত কাজে সফল হন ছাত্রী পূজা মণ্ডল যদিও প্রথমের দিকে বাড়ির লোকজন চিন্তিত ছিলেন কিন্তু পূজা মন্ডলের মানসিক শক্তির এবং ইচ্ছা শক্তির কাছে তাঁরাও বস্যতা স্বীকার করেন এবং শেষ পর্যন্ত মেয়েকে কাজের জন্য উদ্বুদ্ধও করেন ও সর্বক্ষণ পাশে থাকেন।
স্বর্গ রথের ডাইভিং শুরু করেন একজন ছাত্রী, পূজা মন্ডলের এই ভাবে এগিয়ে আসা দেখে ধীরে ধীরে মানসিকতার পরিবর্তন আসে বড়জোড়া স্ট্যান্ডের অন্যান্য ডাইভারদের এবং সময়ের কালক্রমে দু’তিনজন ড্রাইভার এখন মাঝেমধ্যে ড্রাইভিং করে স্বর্গ রথের।
প্রথমের দিকে সমস্যার মধ্যেই ছিলেন স্বর্গ রথের মালিক, কখনো কখনো তাঁকে এমনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে যে তিনি গাড়িটিতে তেল ভরতে পাম্পে গেছেন অথচ তেল ভরে দেয়নি বা যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি হয়েছে কোন মিস্ত্রি কাজ করতে চাইনি, বর্তমানে এইসব সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হয়েছে আর এর নেপথ্যে আছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা মণ্ডল।

এইতো গেল সাধারণ গল্প অসাধারণ গল্প এটাই একজন ছাত্রী সমাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহনকে নির্দিষ্ট পরিষেবার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য নিজে এগিয়ে এসে অবহেলিত স্বর্গ রথের স্টিয়ারিং হাতে তুলে নেওয়া পরবর্তীতে যা দেখে সমাজ এবং বিস্তীর্ণ বড়জোড়া এলাকার মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তনে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হয়ে থাকাটা।
মেয়ের এ কাজে খুশি তার পরিবারের সদস্যরাও উপকৃত সমাজ পরিবর্তন মানসিকতার এ প্রসঙ্গে ওই ছাত্রী পূজা মণ্ডল বলেন স্বর্গ রথ অস্পৃশ্য যে নয় এটা বোঝাতেই তার স্বর্গ রতে ড্রাইভার হওয়া এবং তিনি তাতে গর্বিত, খুশি আমার বাবা-মা ও এবং পরিবারের অন্যান্যরা উপকৃত এই সমাজ আজ যে আমি ছাড়া অনেকেই এগিয়ে আসছে ড্রাইভিং করার জন্য। এটা দেখেই আমার ভালো লাগছে।