কালাচ ও গোখরো সাপের ডিম কৃত্রিমভাবে ফুটিয়ে নজির তৈরি করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।

0
22

আলিপুরদুয়ার, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কালাচ ও গোখরো সাপের ডিম কৃত্রিমভাবে ফুটিয়ে নজির তৈরি করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে খবর আসে জঙ্গল লাগোয়া সাতপুকুরিয়া গ্রামের একটি ঘরে গোখরো রয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের র‍্যাপিড রেসপন্স টিম তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌছে দেখেন এক স্ত্রী গোখরো ২৭ ডিম পাহাড়া দিয়ে বসে আছে। সাপ ও সাপের ডিম উদ্ধার করে বন দপ্তর। একইভাবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া গ্রাম থেকে ৭ টি ডিম সহ একটি ওয়াল’স ক্রেইট (কালাচ) উদ্ধার হয়।

প্রথমে গোখরো সাপের ২৭ ডিম উদ্ধারের পরেই সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক নবজিৎ দে। তিনিই সাপের ডিম যাতে নষ্ট হয়ে না যায় তার উদ্যোগ নেন। বালু, প্লাস্টিকের পাত্র ও জল দিয়ে কৃত্রিমভাবে ইনকিউবেটর তৈরি করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সেই ইনকিউবেটরে গোখরো সাপের ডিম রেখে পর্যায়ক্রমে তা পর্যবেক্ষণ করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ৯ জুলাই দুপুর আড়াইটের সময় প্রথম ডিম ফুটে গোখরো সাপ বেড়িয়ে আসে। তার পর ধীরে ধীরে ২৬ ডিম ফুটে ২৬ টি গোখরোর বাচ্চা বের হয়। একটি ডিম পচা থাকায় সেই ডিমটিকে আগেই সরিয়ে রেখেছিল বন দপ্তর।

একই ভাবে কৃত্রিম ইনকিউবেটরে ৫ জুলাই প্রথম দুই ডিম ফুটে দুই কালাচ বেড়িয়ে আসে। পরে ধাপে ধাপে মোট ৬ টি কালাচের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক নভজিৎ দে বলেন, “ সাপের ডিম সহ সাপ উদ্ধারের সময় সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ চৌধুরী জলদাপাড়াতেই ছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার পরামর্শে কৃত্রিম ইনকিউবেটর তৈরি করে ডিমগুলোকে রাখা হয়। তার আগে ডিম গুলোকে পরীক্ষা করি আমরা। পচা ডিম আলাদা করে ফেলা হয়। পর্যায়ক্রমে পর্যবেক্ষণ ও তাপমাত্রার হেরফের করা হয়। অবশেষে সফলতা মেলে।