মহরম : শোকের পবিত্র মাস।

0
19

ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস মুহাররম ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। এটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য শোক, প্রতিফলন এবং স্মরণের মাস। মহররমের দশম দিন, আশুরা নামে পরিচিত, বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এটি নবী মুহাম্মদের নাতি ইমাম হুসাইনের শাহাদাতকে স্মরণ করে।

মহরমের ইতিহাস

মুহাররমের ইতিহাস ইসলামের প্রথম দিকের, যখন নবী মুহাম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। নবী মহররমকে একটি পবিত্র মাস ঘোষণা করেছিলেন এবং মুসলমানরা তখন থেকেই এটি পালন করে আসছে। যাইহোক, মুহাররমের তাৎপর্য 680 খ্রিস্টাব্দে সিমেন্ট করা হয়েছিল, যখন ইরাকের কারবালায় নবীর নাতি ইমাম হুসাইন শহীদ হন।

অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার প্রতি আনুগত্য করতে অস্বীকার করার কারণে ইমাম হুসাইনের শাহাদাত হয়েছিল। এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় চিহ্নিত করে এবং তখন থেকেই শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

মহরমের তাৎপর্য

ইসলাম ধর্মে মহররম একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এটি মুসলমানদের জন্য তাদের কর্মের প্রতি চিন্তা করার, ক্ষমা চাওয়ার এবং তাদের বিশ্বাসের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করার সময়। মাসটি বিভিন্ন আচার এবং ঐতিহ্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

1. শোক মিছিল: মুসলিমরা ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের স্মরণে শোক মিছিল করে। এই মিছিলগুলি বুক পিটিয়ে এবং শোভাযাত্রার আবৃত্তি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

2. মাজালিস: মাজালিস হল সেই সমাবেশ যেখানে মুসলিমরা ইমাম হুসাইনের জন্য খুতবা ও প্রশংসা শুনতে একত্রিত হয়।

3. উপবাস: অনেক মুসলমান মহররম মাসে, বিশেষ করে দশম দিনে, আশুরাতে উপবাস করে।

মহররমের গুরুত্ব

মহররম বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ:

1. ইমাম হুসাইনের স্মরণ: মহররম হল ইমাম হুসাইন ও তাঁর সঙ্গীদের আত্মত্যাগের একটি স্মারক।

2. প্রতিফলন এবং আত্মদর্শন: মহররম মাস মুসলমানদের তাদের কর্ম সম্পর্কে চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেয়।

3. ঐক্য: মহররম মুসলমানদের একত্রিত করে, কারণ তারা শোক করতে এবং ইমাম হুসাইনের আত্মত্যাগ স্মরণ করতে একত্রিত হয়।

উপসংহারে, মুহাররম হল ইসলামিক ক্যালেন্ডারে একটি পবিত্র মাস, যা শোক, প্রতিফলন এবং স্মরণ দ্বারা চিহ্নিত। মুহররমের তাৎপর্য মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করার এবং ইমাম হুসাইন ও তার সঙ্গীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার মধ্যে নিহিত।