যুবতী অপহরণ এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ।

0
27

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- যুবতী অপহরণ এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। ওই ঘটনায় সারা জেলা জুড়ে নাকা চেকিং এবং পুলিশি তৎপরতার জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গঙ্গারামপুর থেকে ওই অপহৃত যুবতী, তার মা এবং গাড়ির চালক রতন কুমার বর্মন কে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ বুধবার কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় ওই তিনজন কে পুলিশ দুপুর একটা নাগাদ বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলে। মঙ্গলবার এর ঘটনার যাতে কোন পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে সেজন্য বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই তিনজনকে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে বালুরঘাট থানা থেকে কোট পর্যন্ত নিয়ে যায়। পুলিশ এই ঘটনায় একটি গাড়ি কেও আটক করেছে।
জানা গেছে মঙ্গলবার বালুরঘাট আদালতে তোলার আগে হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা ওই যুবতীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। সিনেমার দৃশ্যের মত এমন ঘটনা ঘটেছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবতীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তপন থানার পুলিশ। মেডিকেল পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে যুবতিকে নিয়ে যখন পুলিশ বের হয়ে গাড়িতে তুলতে যাবে তখন চারটি ছোট গাড়ি করে একদল দুষ্কৃতী এসে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে এক পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ওই যুবতী এবং দুষ্কৃতিদের ধরার জন্য সারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে নাকাবন্দি শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ সাফল্য আসে এবং ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে মাস দুয়েক আগে ওই যুবতী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে যুবতীর পরিবার তপন থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় কিছুদিন আগে ওই যুবতী তপন থানায় আত্মসমর্পণ করে। তপন থানার পুলিশ মঙ্গলবার ওই যুবতিকে যখন স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ করাতে নিয়ে যায় তখন একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে মারধর করে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন, ‘অপহৃত ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ ওই যুবতী, তার মা এবং এক গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করে। ওই তিনজনকে বুধবার জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে কেস করেছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। শীঘ্রই বাকিদের কে ধরা হবে।’