সালিশি বসিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক চার ভাইকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক সরবরহাকারী ঠিকাদার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।

0
30

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: সালিশি বসিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক চার ভাইকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক সরবরহাকারী ঠিকাদার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। ছুরি, হাঁসুয়া, লোহার রড নিয়ে সালিশি সভাতেই হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সালিশি বসেছিল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ির সামনে। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর নেতৃত্বে সেই সভায় হাজির ছিলেন প্রধানের স্বামী। তার সামনেই ওই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরকাবাথান এলাকায়। আহত চার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১১ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয় মাস আগে স্থানীয় শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার মনিরুল ইসলামের কাছে ১১ হাজার অগ্রিম নিয়ে মুম্বইয়ে কাজে যান এলাকারই আকবর আলি। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই আকবর সেই কাজ ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যান। এরপর আকবরের কাছে বকেয়া টাকা আদায়কে ঘিরে বিবাদ বাধে। ঠিকাদার মনিরুল গত সোমবার আকবরের বাড়িতে চড়াও হয়ে ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। আকবর এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। ওই ঘটনা স্থানীয় ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য মালিওর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী আব্দুল রহমানের নেতৃত্বে তার বাড়ির সামনে সালিশি ডাকা হয়। সেখানে আকবর ছাড়াও তার তিন ভাই বাবর, জাহাঙ্গীর ও আরও এক ভাই হাজির ছিলেন। অভিযোগ, সেই সালিশিতে প্রধানের স্বামীর সামনেই চার ভাইয়ের উপরে ঠিকাদার মনিরুল ও তার সঙ্গীরা ছুরি, হাঁসুয়া, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়।

চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, এদিন অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।