স্মরণে কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আরতি মুখার্জী  : বাংলা তথা বলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।।

0
42

আরতি মুখার্জী : বাংলা তথা বলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।আরতি মুখার্জী / আরতি মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৮ জুলাই ১৯৪৩) একজন ভারতীয় বাঙালি গায়িকা। তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। মূলত তিনি বাংলা, হিন্দি চলচ্চিত্র এবং আধুনিক গান গাওয়ার জন্য বিখ্যাত। তিনি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য।

প্রারম্ভিক জীবন—
আরতি মুখার্জী একটি সমৃদ্ধ, সাংস্কৃতিক এবং সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই বাড়িতেই ছোট বয়স থেকেই তার মা তাকে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়, ওস্তাদ মোহাম্মদ সাগিরউদ্দিন খান, পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ী, পণ্ডিত লক্ষ্মণ প্রসাদ জয়পুরওয়ালা এবং পণ্ডিত রমেশ নাদকর্ণির অধীনে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
সঙ্গীত জীবন—
আরতি মুখার্জী অল্প বয়স থেকেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি “মেট্রো-মরফি কনটেস্ট” সংগীত প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি বিজয়ী হন যেখানে বিচারকরা মধ্যে ছিলেন অনিল বিশ্বাস, নওশাদ, বসন্ত দেসাই এবং সি রামচন্দ্রের মতো সংগীত পরিচালক। তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি,তিনি ১৯৫৮ সালে মিনা কুমারীর অভিনীত হিন্দি ছবি ‘সাহারা’তে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে প্রথম সুযোগ পান, কিন্তু সেই ছবির সংগীত ততটা সফল হয়নি। পরে, গার্ল ফ্রেন্ড (ওয়াহিদা রেহমান অভিনীত) এর মতো ফ্লপ ছবির পরে তিনি বাংলা ছবিতে গান করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুযোগ আসে ১৯৬২ সালে “কন্যা” নামে একটি বাংলা ছবির হাত ধরে।
তার অসামান্য গায়কী এবং অতি মধুর কণ্ঠ সবাইকে এতটাই মোহিত করেছিল যে তারা পূর্বের শীর্ষস্থানীয় গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রতি মনোযোগ হারাতে শুরু করেছিলেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে, তার কণ্ঠ সন্ধ্যা মুখার্জির পরিবর্তে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নেপথ্য কণ্ঠ হিসাবে প্রথম ব্যবহৃত হয়। ১৯৬৬ সালে, তিনি “গল্প হলও সত্যি” ছবিতে গান গেয়েছিলেন, যা সেরা মহিলা নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী জন্য ‘বিএফজে’ পুরস্কার পেয়েছিল। ১৯৭৬ সালে, তিনি “ছুটির ফাদে” চলচ্চিত্রের জন্য পুনরায় পুরস্কারটি পান। তিনি ষাটের দশকের শেষের দশকের শেষভাগে মাধবী মুখার্জি, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, দেবশ্রী রায়, তনুজা প্রমুখ অভিনেত্রীদের নেপথ্য কণ্ঠে কাজ করেন এবং অনেকের মতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শিল্পী জীবনের পতনের পিছনে একটি বড় কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯৭৬ সালে, রাখি অভিনীত ছবি ‘তপস্যা’ দুটি গান গেয়েছিলেন। প্রথম গান ‘বাচ্চে হো তুম খেল খিলনে’ এবং কিশোর কুমারের সাথে ‘দো পাঁচি দো তিনকে’ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি বাংলা ভাষায় আনুমানিক ১৫০০০ গান গেয়েছেন এবং হিন্দিসহ অন্যান্য ভাষার গানেও নিজের কৃতিত্বের ছাপ রেখে চলেছেন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।