দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ মির্জাফর।

0
40

মিরজাফর, তিনি ছিলেন 18 শতকের বাংলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি দুবার মুর্শিদাবাদের নবাব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, প্রথমে 1757 থেকে 1760 এবং তারপর আবার 1763 থেকে 1765 সাল পর্যন্ত। তার দ্বিতীয় শাসনকাল 25 জুলাই, 1763 সালে শুরু হয় এবং এই অঞ্চলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় চিহ্নিত করে।

পটভূমি

মির্জাফরের প্রথম রাজত্ব ছিল অশান্তি ও সংঘাত দ্বারা চিহ্নিত। 1757 সালে পলাশীর যুদ্ধের পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন, যেখানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৎকালীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে। যাইহোক, শীঘ্রই ব্রিটিশদের সাথে মির্জাফরের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় এবং 1760 সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

নির্বাসন এবং প্রত্যাবর্তন

তার ক্ষমতাচ্যুতির পর মির্জাফর আওধ রাজ্যে নির্বাসনে চলে যান। তবে তিনি ক্ষমতায় ফেরার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। 1763 সালে, তিনি সিংহাসন পুনরুদ্ধার করার একটি সুযোগ দেখেছিলেন যখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আওধের শাসকের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় রাজত্ব

25 জুলাই, 1763 তারিখে, মির্জাফর মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন এবং নবাব হিসাবে পুনর্বহাল হন। তার দ্বিতীয় শাসনকাল তার কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধার এবং ব্রিটিশ প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টার একটি সিরিজ দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল। যাইহোক, তার প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল এবং 1765 সালে তাকে আবার পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল।

উত্তরাধিকার

মির্জাফরের দ্বিতীয় রাজত্ব মুর্শিদাবাদের নবাবদের শেষের সূচনা করে। এই অঞ্চলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রভাব ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং নবাবরা ক্রমশ শক্তিহীন হয়ে পড়ে। মির্জাফরের উত্তরাধিকার জটিল, কেউ কেউ তাকে একজন নায়ক হিসেবে দেখেন যিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতাকে প্রতিরোধ করেছিলেন এবং অন্যরা তাকে একজন ক্ষমতা-ক্ষুধার্ত নেতা হিসেবে দেখেন যিনি এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতায় অবদান রেখেছিলেন।

উপসংহার

মুর্শিদাবাদের নবাব হিসেবে মির্জাফরের দ্বিতীয় শাসনকাল ছিল এই অঞ্চলের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এটি নবাব এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের একটি টার্নিং পয়েন্ট চিহ্নিত করে। যদিও তার কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধার করার তার প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল, তার উত্তরাধিকার আজও এই অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে।