সবুজ চুরি পড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে মেয়েদের মধ্যে।

0
61

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন ট্রেন্ডে সবুজ চুরি । আর সবুজ চুরি পড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে মেয়েদের মধ্যে শ্রাবণ মাসে সবুজ চুরির চাহিদা থাকে ঊর্ধ্বমুখী ।আর সেই চিত্র দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামে।হিন্দু পুরাণ মতে কোনো এক সময়ে অভিশাপের কারণে দেবী পার্বতী শিবের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় ফের মহাদেবকে ফিরে পেতে শ্রাবণ মাসে দেবী পার্বতী কঠোর সাধনা করেছিলেন। তখনই তিনি হাতে পরেছিলেন সবুজ চুড়ি। এই চুড়ি তাঁর ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক। কিন্তু এই ব্যাপারে অবগত ছিলেন না মহাদেব।বনে ঘুরে বেড়ানোর সময় সবুজ চুড়ি পরা এক সুন্দরী মহিলাকে দেখে তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান মহাদেব। এরপর তিনি জানতে পারেন যে ওই সুন্দরী মহিলাই দেবী পার্বতী এবং মহাদেবকে ফিরে পাওয়ার জন্য কঠোর সাধনা করেছেন তিনি, তখন সানন্দে দেবীকে গ্রহণ করেন তিনি । দেবী পার্বতীর ভক্তিতে খুশি হয়ে তাঁকে একটি বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মহাদেব।

তখন দেবী পার্বতী বলেছিলেন, যে সমস্ত বিবাহিত মহিলারা শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পরবে তারা যেন তাঁর মতো সুখী বিবাহিত জীবন পায়।
এবং মহাদেব তাঁর ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন বলে জানা যায়।সেই বিশ্বাস থেকেই অনেক বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলারাও শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পরেন ।
সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। বিশ্বাস করা হয় যে শ্রাবণ মাসে সবুজ চুরি পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয় ।সবুজ রং হতাশা থেকে মুক্তি দেয় সবুজ এই রঙটি সুখ, শান্তি এবং প্রাণশক্তিও দেয়। সবুজ রঙ ইতিবাচক শক্তি দেয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পরলে ভাগ্য আলোকিত হয়। প্রকৃতির সবুজ রঙ মন মুগ্ধ করে এবং সবুজ রঙ মনকে শান্ত এবং শীতল বোধ করায়। এই সকল কারণে শ্রাবণ মাসে সবুজ চুরির চাহিদা বেশি থাকে । আগে উত্তরপ্রদেশ, বিহারে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাংলাতেও এই চল লক্ষণীয়।