বেঙ্গল কাজু অ্যাসোসিয়েশনের এক মাসের কর্ম বিরতি! সংকটে কাজুর যোগান।

0
30

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁথি কাজু অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে রীতিমতো নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হলো এক মাস ধরে বন্ধ থাকবে কাজু প্রসেসিং এর কাজ। হঠাৎ করে বাজার মূল্য কম হওয়ার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কাজু ব্যবসায়ীরা।
তাই গত ২৮সে জুলাই থেকে আগামী ২৮সে আগস্ট পর্যন্ত কাজু বয়েল রোস্টিং কাটিং সমস্ত কাজ বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বেঙ্গল কাজু এসোসিয়েশন।
অন্যদিকে কাঁথি কাঁথি কাজু এসোসিয়েশন
আগামী ১ লা আগস্ট থেকে ২৫শে আগস্ট পর্যন্ত কাজু বয়েল রোস্টিং কাটিং সমস্ত কাজ বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
রাজ্যে কাজু চাষের জন্য বিখ্যাত কাঁথি, মাজনা ও রামনগরের কাজু শিল্প গভীর সঙ্কটে পড়েছে। রীতিমতো মাথায় হাত এই সব এলাকার কাজু প্রসেসিং ইউনিটগুলির।
রীতিমতো মাথায় হাত এই সব এলাকার কাজু প্রসেসিং ইউনিটগুলির। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে ইতিমধ্যে বৈঠকেও বসেছে কন্টাই কাজু ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং বেঙ্গল কাজু অ্যাসোসিয়েশন। বেঙ্গল কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন বলেন অতিদ্রুত আমরা এর সমাধানের চেষ্টা করছি। সাধারণ ভাবে যে কাজু বাজারে বিক্রি হয় তার লম্বা প্রসেসিং পদ্ধতি রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, মাজনা, তাজপুর, রামনগর, দেপাল এলাকায় প্রায় এক হাজার এর ও বেশী কাজু প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে।কাঁচা কাজু আনার পর তার উপরের মোটা খোলা ছাড়ানো হয়। অর্থাৎ কাজু ভাঙা হয়। এরপর কাঁচা কাজুর উপর থেকে যাওয়া পাতলা খোসা ছাড়ানো হয় মেশিনের সাহায্যে। এর পর প্রসেসিং হয়ে তা বাজারে বিক্রির জন্য প্যাকেটবন্দি করা হয়। কাঁথি, মাজনা ও তাজপুরের কাজু ইউনিটগুলির দাবি বাজারে কাজুর দাম কম হওয়ার দরুন তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে অন্ধ্র, কেরল, অসম ও ত্রিপুরা থেকে কাঁচা কাজু আসে এ রাজ্যে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কাজু উৎপাদন হয়। রাজ্যেই তার প্রসেসিং হয়।
কন্টাই কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা খলিল বেগ বলেন বাজার ঠিক হলেই আমরা আবার কাজ শুরু করব।
বিদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচা কাজু আসে কাঁথির কাজু শিল্পে। তাইল্যান্ড, আফ্রিকার কয়েকটি দেশ, হংকং, চিন, সিঙ্গাপুর থেকে কাঁথি মহকুমায় কোটি কোটি টাকার কাঁচা কাজু আমদানি হয়।
বিশিষ্ট কাজু ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম বলেন বাজার এখন মন্দা কয়েকদিন পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যায়।তবে এই কর্ম বিরতির ফলে কয়েক লক্ষ শ্রমিকও ইতিমধ্যেই পড়েছেন সংকটে। কাঁথি কাজু শিল্প আবার কবে সচল হবে তার অপেক্ষায় দিন গুনছে গোটা রাজ্যবাসী।