ব্যস্ততার কারণে স্কুলে আসতে পারেন না তৃণমূল শিক্ষক নেতা,পরিবর্তে ডামি শিক্ষিকা দিয়ে করতেন ক্লাস,বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই ছড়ালো চাঞ্চল্য,শো কজ লেটার দিলেন DI য়ের ।

0
23

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- বছরের পর বছর স্কুলে ক্লাস না করেও শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত মাইনে তুলেছেন এক তৃণমূল নেতা,মাস শেষে স্কুলে গিয়ে হাজিরা খাতা ভরাট করতেন,নিজে স্কুলে না গিয়ে একজন ডামি শিক্ষিকাও রেখে ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর ব্লকের ভগবানখালী নিউ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক স্বপন প্রধান জেলা পরিষদের সদস্য। ওই তৃণমূল নেতা তারই ভাইয়ের স্ত্রী অমিতা প্রধানকে টিচার হিসেবে রেখে ক্লাস করাতেন। জেলা শাসকের কানে খবরটি পৌঁছে যায়। জেলাশাসক ডিআই কে নির্দেশ দেন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য। DI এর তরফ থেকে শোকজ লেটার যায় অভিযুক্ত শিক্ষকের হাতে। স্কুলের ছাত্ররাও এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন। স্বপন প্রধান বলেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সে আমার খাতা কলমের রেকর্ড বলবে। আমি নিয়মিত ক্লাস করি। ২০২৩ সাল থেকে আমি জেলা পরিষদ সদস্য তার আগেতো আমি জেলা পরিষদ সদস্য ছিলাম না।অসুস্থতার কারণে আমি মেডিক্যাল লিভ নিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি ছুটির লিখিত আবেদন করতে পারিনি। ফোনে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। তার পর থেকে নিয়মিত ক্লাস করছি। চিকিৎসা করে ফিরে আসার পর আমি ছুটির আবেদন করেছি ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছি। আমি একটা শোকজ নোটিশ পেয়েছি। তার উত্তরও দেব। অপর দিকে নিতাই চরণ মাইতি (প্রধান শিক্ষক) বলেন কোন ড্যামি শিক্ষিকা এখানে আসতেন না। একজন শিক্ষানুরাগী মহিলা স্বইচ্ছায় মাঝে মধ্যে আসতেন। উনি ক্লাস নিতেন না। কমিটির অনুমোতি নিয়ে তিনি মাঝে মধ্যে আসতেন। একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে মাঝে মধ্যে শিক্ষকদের সহযোগিতা ও ছাত্রদের পঠন পাঠনের সুবিধার জন্যে ক্লাস নেওয়ার ও ইচ্ছা প্রকাশ করে ছিলেন। উনি অন্য জায়গায় পড়িয়েছেন সেকারণে কমিটির অনুমোতি নিয়ে ওনাকে মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের পড়াতে বলা হয়ে ছিল বিনা পারিশ্রমিকে। মৃনাল কন্তি সিনহা যিনি সভাপতি ত্ণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন বলেন স্বপন বাবু একজন সহ শিক্ষকের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সদস্য ও দয়িত্বমীল নেতৃত্ব। শুনেছি বর্তমানে তিনি বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে স্কুলের পঠন পাঠনে যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্যে ড্যামি শিক্ষক দিয়ে ছিলেন। আমি জানিনা অভিযোগ কতটা সঠিক। যদি এখন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমি তার তীব্র বিরোধিতা করছি। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই প্রাথমিক জানান শোকজ করা হয়েছে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।