অতুল সেন : ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

0
26

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে অতুল সেন প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। অতুল সেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।
অতুল সেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। অতুল সেন  ছিলেন একজন বাঙালি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মী যা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে।  তিনি প্রায়ই সাম্ভু এবং কুট্টি উপনাম ব্যবহার করতেন।
জীবনের প্রথমার্ধ—
অতুল সেন ব্রিটিশ ভারতের খুলনা জেলার সেনাহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম অশ্বিনী কুমার সেন। ছাত্র থাকাকালীনই তিনি বিপ্লবী দলে যোগ দেন।  ছাত্রাবস্থায় তিনি গ্রামের বিখ্যাত বিপ্লবী রসিকলাল দাস, অনুজাচরণ সেন, রতিকান্ত দত্ত এবং কিরণ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত হন।

বিপ্লবী কার্যক্রম—

যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় তিনি যুগান্তর পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।  স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় স্টেটসম্যান বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এমনভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন যে বিপ্লবীরা প্রতিশোধ নিতে এবং প্রতিরোধ করার জন্য পত্রিকার সম্পাদক ওয়াটসনকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।  এই গুরুদায়িত্ব পালনের ভার পড়ে যাদবপুর ইঞ্জিয়ারিং কলেজের ছাত্র এবং যুগান্তর দলের নিষ্ঠাবান কর্মী অতুল সেনের উপর। ওয়াটসন সাহেবকে এককভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হন। ১৯৩২ সালের ৫ আগস্ট, তিনি স্যার আলফ্রেড ওয়াটসনকে গুলি করেন, কিন্তু তিনি মিঃ ওয়াটসনকে হত্যা করতে ব্যর্থ হন এবং অবিলম্বে গ্রেফতার হন।  তিনি পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।” এর কিছুদিন পরে আরেক বিপ্লবী মণি লাহিড়ীও ওয়াটসনকে আবার গুলি করেন, কিন্তু পুলিশের হাত থেকে পলায়নরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মারা যান।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।