ডক্টর এসআর-এর জন্মদিন স্মরণে ভারতে প্রতি বছর 12 আগস্ট জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়। রঙ্গনাথন, একজন প্রখ্যাত গ্রন্থাগারিক ও শিক্ষাবিদ। সমাজে গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই দিবসটির লক্ষ্য।
গ্রন্থাগারগুলি মানব সভ্যতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, জ্ঞান ও শিক্ষার ভান্ডার হিসাবে কাজ করে। ভারতে, লাইব্রেরিগুলির একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে যা প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে, বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। ভারতে আধুনিক গ্রন্থাগার আন্দোলন 20 শতকের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল, ডক্টর রঙ্গনাথন একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ডঃ রঙ্গনাথনকে ভারতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি একজন স্বপ্নদর্শী ছিলেন যিনি বিশ্বাস করতেন যে গ্রন্থাগারগুলি সকলের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া উচিত এবং শিক্ষা ও সাক্ষরতার প্রচারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি “গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পাঁচটি আইন” ধারণাটি প্রবর্তন করেছিলেন যা আজও ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস সমাজে গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি সুযোগ। লাইব্রেরিগুলো আর শুধু বইয়ের ভান্ডার নয়; তারা প্রাণবন্ত কমিউনিটি সেন্টারে বিকশিত হয়েছে যা বিভিন্ন পরিষেবা এবং প্রোগ্রাম অফার করে।
ভারতে, কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি হল দেশের বৃহত্তম লাইব্রেরি, যেখানে 2.2 মিলিয়নেরও বেশি বই এবং জার্নাল রয়েছে। ভারতের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টেশন সেন্টার (INSDOC) এবং ন্যাশনাল সোশ্যাল সায়েন্স ডকুমেন্টেশন সেন্টার (NASSDOC)।
ভারতের গ্রন্থাগারগুলি অপর্যাপ্ত তহবিল, পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তি সহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যাইহোক, গ্রন্থাগারগুলিকে আধুনিকীকরণ এবং জনসাধারণের কাছে আরও সহজলভ্য করার জন্য অনেক উদ্যোগও চলছে।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে, আমাদের জীবনে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব এবং কীভাবে তারা আরও সচেতন ও শিক্ষিত সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারে তার প্রতিফলন করা উচিত। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রক্ষক গ্রন্থাগারিকদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমকেও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।