পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ভাসুর তথা প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে মধুচক্রের আসর বসার অভিযোগ, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত সাব ইন্সপেক্টর, গ্রেপ্তার ৪, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ তৃণমূলের, সম্প্রতি তৃণমূলের লোক হোটেল ভাড়া নিয়ে ছিল দাবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির।

0
17

মালদা; নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৪সেপ্টেম্বর: – হোটেলের আড়ালে চলছিল দেহ ব্যবসা।রমরমিয়ে বসছিল মধুচক্রের আসর।রাত বাড়তেই ভিড় জমাত বহিরাগত যুবক-যুবতীরা। বেশ কিছু দিন ধরেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।তারপর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই তুলকালাম কান্ড। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত সাব ইন্সপেক্টর।ব্যাপক ভাংচুর চালানো হল হোটেলে। গ্রেফতার ৪ যুবক। এক মহিলা উদ্ধার। ভুল বোঝাবুঝি তে স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে থানার সামনেও ধস্তাধস্তি। পরবর্তীতে আইসির হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি।হোটেলের মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আত্মীয় এবং প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাই শুরু হয়েছেে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে থাকায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালাচ্ছে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও কংগ্রেসের দাবি সম্প্রতি এক মাস আগেই হোটেল ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যারা ভাড়া নিয়ে ছিল তারা তৃণমূল করে। তারাই এই ষড়যন্ত্র করেছে। মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তেঁতুলবাড়ির এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তেঁতুল বাড়িতে একটি হোটেল রয়েছে।যে হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মুসলিমের ছেলে নুর আলম। যিনি আবার কংগ্রেস সিপিএম জোট পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। ওই হোটেলে বেশ কয়েক দিন ধরেই বাহির থেকে যুবক-যুবতীরা আসতো। পার্শ্ববর্তী স্থানীয় দোকানদারদের সন্দেহ হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে পুনরায় যুবক যুবতীরা আসে। তারপরে স্থানীয়রা চার যুবক এবং এক মহিলাকে আটক করে। খোঁজ দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আসতেই ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কি তে সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হন। গন্ডগোলের জেরে ভুল বোঝাবুঝিতে পুলিশ স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়।আইসি মনোজিৎ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ সূত্রে খবর মোট ৪জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও তৃণমূলের দাবী হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে। এই হোটেল প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের। তারা প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ চালাচ্ছিল। যদিও কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের দাবি সম্প্রতি তারা এই হোটেল ভাড়া দিয়ে ছিলেন। সমস্যা মনে হওয়াই ভাড়া থেকে উঠেও যেতে বলে ছিলেন। তার মাঝে এই ঘটনা। আর যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা তৃনমূল করে। তারা এই ষড়যন্ত্র করেছে। সাথে তৃণমূলের ছেলেরাই হোটেল ভাঙচুর করেছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।