রকেট গতিতে থাকা এক বাইক আরোহীর বাইকের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ গেল এক সাইকেল আরোহীর।

0
53

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  চাউমিন কারখানার কাজ শেষ করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল দুই বন্ধু, পথের মাঝেই বাড়ি থেকে স্ত্রীর ফোন আসে, সাইকেল চালাতে চালাতেই স্ত্রীর সাথে কথা বলছিল চয়ন সেন নামে ৩৭ বছরের এক যুবক। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পিছন থেকে দুরন্ত গতিতে বাইক ছুটে আসে এবং সজরে ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহী কে, বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে সেই তীব্রতায় সাইকেল সহ চয়নকে ছিটকে পড়ে প্রায় চল্লিশ হাত দূরে।
আঘাতের তীব্রতায় মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধুর বক্তব্যে পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় সঙ্গে থাকা বন্ধুও সাইকেল থেকে পড়ে যায় তবে তার চোট গুরুতর না হওয়ায় সে তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বন্ধুর খোঁজ করতে গিয়ে দেখে বন্ধুর রক্তাক্ত শরীর প্রায় ৪০ হাত দূরে পড়ে আছে।
ভয়ংকর এই পরিস্থিতিতে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলেই জানাই বন্ধু যুবক ।একটি ফোন জোগাড় করে বন্ধুর বাড়িতে ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও একই বক্তব্য পৌঁছে দেয়।

মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইন্দাস থানার পুলিশ এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই একই ঘটনায় বাইক আরোহীও গুরুতর আঘাত পায়, বর্তমানে সে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অতিরিক্ত গতি যে কি ভয়ংকর হতে পারে তার একটি দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ এই ঘটনা।
বাড়িতে ফুটফুটে ছোট্ট সন্তান। অকুল শোকের সমুদ্রে মৃতের স্ত্রী।
কোলে ছোট্ট মেয়ে, তাকে সামনে হাঁটতে হবে বহু পথ, মানুষ করতে হবে সন্তানকে কিন্তু ছোট্ট মেয়ে একটু বড় হয়ে আর দেখতে পাবে না বাবার মুখ অবশ্য দেখতে পাবে সেটা ফুলমালা ঝোলানো ছবিতে। বড় হয়ে মেয়ে জানতেও পারবে না বাবার স্নেহ, ভালোবাসা কাকে বলে।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর এলাকায়।
বেদনাদায়ক এবং মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকাহত পরিবার, পরিজন এবং এলাকাবাসী।