ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ড্রাইভিং টেস্ট চলে রাস্তার উপরেই। নির্দিষ্ট জোন নেই দপ্তরের, ফাঁকা জায়গার খোঁজে আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর।

0
35

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ১৩ সেপ্টেম্বর :-  ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ড্রাইভিং টেস্ট চলে রাস্তার উপরেই। নির্দিষ্ট জোন নেই দপ্তরের। ফাঁকা জায়গার খোঁজে আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর। প্রস্তাব গিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। বর্তমানে সেই রাস্তার উপর ড্রাইভিং টেস্ট দেওয়ার সময় শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা চলে এলে মাঝপথে থেমে যেতে হচ্ছে। আবার নতুন করে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হচ্ছে চালকদের।

দুই চাকার গাড়ি হোক বা চার চাকা রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। যার জন্য আরটিও দপ্তরে আবেদন করতে হয়। কিন্তু কোনও চালক আদৌ জনবহুল রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত কিনা তা যাচাই করতে ড্রাইভিং টেস্ট নেওয়ার নিয়ম সব জায়গায়। বালুরঘাটেও ড্রাইভিং টেস্ট নেওয়া হয়। কিন্তু তা চলছে দপ্তরের পাশে থাকা রাস্তার উপরেই। যেই রাস্তা দিয়ে অনবরত সাধারণ মানুষ আসা-যাওয়া করছেন। এমনকি সেই রাস্তা সরু হওয়ায় ড্রাইভিং টেস্ট দিতেও বেগ পেতে হচ্ছে বাহন চালকদের। বালুরঘাটের জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন জায়গায় রয়েছে আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর। তার পাশেই পাকা রাস্তার উপরেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত ট্রাফিক কোণ রেখে ডাইভিং টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চললেও এখনও পর্যন্ত ড্রাইভিং টেস্ট নেওয়ার নির্দিষ্ট জায়গা পাওয়া যায়নি। পূর্বতন আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক এর আগে সরকারি জায়গা পেতে প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও সবুজ সংকেত মেলেনি। দপ্তরের তরফে একটি উপযুক্ত ফাঁকা জায়গার খোঁজ চালানো হচ্ছে। এদিকে রাস্তার ওপরে ড্রাইভিং টেস্ট নেওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করতে আসা সাধারণ মানুষদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা ব্যক্তিরাও একটি নির্দিষ্ট জায়গা হলে সুবিধা হয় বলে জানাচ্ছেন।

কিছুদিন আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন অমন দাস। তার কথায়, ‘রাস্তার উপরেই একটি বাঁকের কাছে ড্রাইভিং টেস্ট দিয়েছি। রাস্তায় কয়েকটি ট্রাফিক স্টপিং মার্ক বসিয়ে তার চারপাশে গোল করে ঘুরে এই টেস্ট দিতে হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই মানুষজন চলে আসছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ট্র্যাক করে এই টেস্ট নেওয়া হয়। এখানে তেমনটা হলে ভাল হয়।’

আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘চওড়া রাস্তার ধারে একটি সরকারি জায়গার খোঁজ আমরা চালাচ্ছি। আগের আরটিও এই নিয়ে উপরে মহলে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আমরা সেটি খোঁজ নিচ্ছি। উপযুক্ত জায়গা পাওয়া গেলে সেখানে ড্রাইভিং টেস্ট সহ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষাও করা যাবে।’