স্মরণে যতীন্দ্রমোহন রায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

0
7

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে যতীন্দ্রমোহন রায় ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। যতীন্দ্রমোহন রায় ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

জন্ম——

যতীন্দ্রমোহন রায়ের জন্ম রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় ১৮৮৩ সালে। তার পিতার নাম হরিমোহন রায়।

শিক্ষা ও রাজনীতি——–

রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজশাহী কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। পরে ঐ কলেজ থেকে ১৯০৭ সালে বি.এ. পাস করেন। বগুড়ায় শিক্ষকতা করার সময় ‘গণমঙ্গল সমিতি’ নামে সংগঠনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিক্ষার সম্প্রসারণে আত্মনিয়োগ করেন। বগুড়ায় দুটি হাই স্কুলও স্থাপন করেছিলেন।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড————-

যতীন্দ্রমোহন রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।  তিনি বাঘা যতীনের সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যোগ দেন।  বালেশ্বর যুদ্ধের পর তিনি বন্দী হন।  তিনি অসহযোগ আন্দোলন ও লবণ সত্যাগ্রহের জন্য দেড় বছর এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের জন্য দুই বছর কারাভোগ করেন।  পরে তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য দান করার ব্রত নেন।  তিনি বেঙ্গল ইয়ুথ কনফারেন্স এবং বিষ্ণুপুর বেঙ্গল প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন।  ফরিদপুর প্রাদেশিক কংগ্রেসেও তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল।  তিনি আদি অভয়ম সমিতির সদস্য ছিলেন, পরে তাঁর দল উত্তরবঙ্গে যতীনদার দল নামে পরিচিতি লাভ করে।  যতীন্দ্রমোহন রায় ১০ বছর ব্রিটিশ কারাগারে ছিলেন।

গণমঙ্গল সমিতির সদস্যবৃন্দ———-

গণমঙ্গল সমিতির কর্মীদের মধ্যে  উমানাথ চক্রবর্তী, ক্ষিতীশ সরকার, যতীন হুই, পাবনার প্রভাস লাহিড়ী, মানসগোবিন্দ সেন, গোবিন্দ ব্যানার্জি, সুরেন রায়, ধীরেন্দ্রমোহন ঘটক, সত্যপ্রিয় ব্যানার্জি, অবিনাশ রায়, শশধর কর, অক্ষয় গুহ, মহেন্দ্র সেন, মোহিনী সিংহ, যোগেন দে সরকার, খগেন দাসগুপ্ত,  শরদিন্দু চক্রবর্তী, আশুতোষ লাহিড়ী, গপেন্দ্রলাল রায়, কালিপদ বাগচী প্রধান ছিলেন। তাদের সকলেই বহু বছর জেলে বন্দী ছিলেন।  তাদের মধ্যে খগেন দাশগুপ্ত ১৪ বছর জেলে ছিলেন।

মৃত্যু——-

যতীন্দ্রমোহন রায় ১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে প্রয়াত হন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।