বামনগোলা থানার ডাকাত পুকুর গ্রামে কুরমি সমাজের পক্ষ থেকে এই বছর ভাদ্র মাসের শুক্ল একাদশী তিথিতে করম পরব উৎসব পালন করলেন গ্রামের কুমারী মেয়েরা ।

0
9

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- — কুরমি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব হল করম পরব।বামনগোলা থানার ডাকাত পুকুর গ্রামে কুরমি সমাজের পক্ষ থেকে এই বছর ভাদ্র মাসের শুক্ল একাদশী তিথিতে করম পরব উৎসব পালন করলেন গ্রামের কুমারী মেয়েরা । যেখানে গ্রামের অবিবাহিত কুমারী মেয়েরা
সাতদিন আগে ভোরবেলায় শালের দাঁতন কাঠি ভেঙে নদী বা পুকুরে স্নান করে বাঁশ দিয়ে বোনা ছোট টুপা ও ডালায় বালি দিয়ে ভর্তি করার পর তাতে তেল ও হলুদ দিয়ে মটর, মুগ, বুট, জুনার ও কুর্তির বীজ ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যেকের জাওয়া চিহ্নিত করার জন্য কাশকাঠি পুঁতে দেওয়া হয়। একে জাওয়া পাতা বলা হয়। যে ডালায় একাধিক বীজ পোঁতা হয়, তাকে সাঙ্গী জাওয়া ডালা এবং যে ডালায় একটি বীজ পোঁতা হয়, তাকে একাঙ্গী জাওয়া ডালা বলা হয়। যে সমস্ত কুমারী মেয়েরা এই কাজ করেন, তাদের জাওয়ার মা বলা হয়। দিনের বেলা স্নান সেরে পাঁচটি ঝিঙাপাতা উলটো করে বিছিয়ে প্রতি পাতায় একটি দাঁতনকাঠি রাখা হয়। পরদিন গোবর দিয়ে পরিষ্কার করে আলপনা দেওয়া হয় ও দেওয়ালে সিঁদুরের দাগ দিয়ে কাজলের ফোঁটা দেওয়া হয়। গ্রামের একটি নির্দিষ্ট করা স্থানে একটি করম ডাল এনে পুঁতে রাখা হয়, যা সন্ধ্যার পরে করম ঠাকুর বা করম গোঁলায় এবং ধরম ঠাকুর হিসেবে পূজিত হন।
কুরমি সম্প্রদায়ের সদস্য হরিপদ মাহাতো বলেন – কুমারী মেয়েরা সারাদিন উপোষ করে সন্ধ্যার পরে থালায় ফুল, ফল সহকারে নৈবেদ্য সাজিয়ে এই স্থানে গিয়ে পূজা করেন। এরপর সারারাত ধরে নাচ গান চলে। পরদিন সকালে মেয়েরা জাওয়া থেকে অঙ্কুরিত বীজগুলিকে উপড়ে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে বাড়িতে বিভিন্ন স্থানে সেগুলিকে ছড়িয়ে দেন। এরপর করম ডালটিকে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।