পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মা দেবের পূজা। সেই উপলক্ষে পুজোর কয়েকদিন আগে থেকে সারা রাজ্যে ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। চলতি নিম্নচাপজনিত কারনে কয়েক দিন ধরে মেঘলা আবহাওয়া ও কাল থেকে বৃষ্টির ফলে গাছ থেকে ফুল তোলা তা বিক্রি করায় সমস্যায় পড়েছেন ফুলচাষীরা। যে সমস্ত চাষীরা পুজোর দুই দিন আগে ফুলবিক্রি করে বেশি দামের আশায় দিন গুণছিলেন তারা ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বর্ষায় পাপড়ি যুক্ত ফুল যেমন গাঁদা-দোপাটি প্রভৃতি ফুলে জল ঢুকে পাপড়িগুলো পচে গিয়ে ফুলের গুণমান নষ্ট হবে। সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,রাজ্যে বিশ্বকর্মা পূজার একদিনে ব্যাপক পরিমান ফুলের চাহিদা থাকায় বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ফুল হিমঘরে মজুত করে ফুলব্যবসায়ীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফুলের বাজার স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার ও পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট এবং দেউলিয়া ফুলবাজার সুত্রে জানা গেছে,রবিবার লাল গাঁদা ৬০ টাকা,হলুদ গাঁদা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রজনীগন্ধা ৩০০ টাকা,বেল ৩৫০ টাকা,জুঁই ৪০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পদ্ম প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা,গোলাপ ৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দোপাটি ৩০ টাকা ও অপরাজিতা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লাল গাঁদার মালা প্রতি পিস এর দাম ছিল ১৫ টাকা, হলুদ গাঁদা মালার দাম ছিল ১৮ টাকা। যদিও এই সম্বন্ধে সারা রাজ্য ফুল ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানিয়েছেন এই নিম্নচাপের জেরে প্রচুর ফুল ফুল চাষির ক্ষতি হয়েছে আগামী দিনে সেইসব চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেই দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।