দীঘা সমুদ্র উপকূলবর্তী বাধিয়া অঞ্চলের তিনটি গ্রাম বন্যা কবলিত। পরিদর্শনে সভাধিপতি, মানুষের হাতে তুলে দিলেন ত্রাণ ও জল।

0
39

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার সাথে সাথে বন্যা কবলিত দীঘা উপকূলবর্তী এলাকার রামনগর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বাঁধিয়া অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম। সুবর্ণরেখার নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তিন দিন ধরে জলবন্দি রয়েছে সাধারণ মানুষ। পাঁচটি গ্রাম পুরোপুরি ভাবে জলের তলায়।
আজ এলাকা পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি উত্তম বাড়ি ও বন্যা দুর্গত মানুষদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রামনগর বিধানসভা বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় পাঁচটি মৌযায় প্রায় কয়েক হাজার বাড়ি কার্যত জলের তলায়। ডিভিসি জল ছাড়ার পরে সুবর্ণলেখা নদীর জল বেড়ে অবশ্যই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রামনগর এক নম্বর ব্লকের বাধিয়া অঞ্চলের তিন থেকে চারটি গ্রাম। জলবন্দী রয়েছে এলাকার মানুষজন। আবহাওয়া উন্নতি হলেও পরিস্থিতি এখনো বদলায়নি। বন্যার জলে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি গুলি। রামনগর এক ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার ও ত্রিপল । বন্যা দুর্গত কিছু কিছু এলাকায় মানুষদের মধ্যে পানীয় জল পায়নি বলে বিক্ষোভ দেখায়। আজ থেকে জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
ইতিমধ্যেই গতকাল ত্রিপল ও খাবার পৌঁছানো হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন করেছেন রামনগর এক নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পূজা দেবনাথ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই চরন সার। জেলার খাদ্যকর্মাধ্যক্ষ তমাল তরু দাস মহাপাত্র, মানব বড়ুয়া, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ জানা,রামনগর এক নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক বারিক, কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক কাজী, বিদ্যুৎ চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার, জল ও খাবার সমস্যার কথা সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন আধিকারীক সহ স্থানীয় নেতৃত্বদের, কিছু কিছু এলাকায় পানীয় জল ও খাবার না পৌঁছানোর জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । অপরদিকে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন এখনো পর্যন্ত তারা কোন সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না। অবশেষে আজ সরকারি সাহায্য পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তারা। জল বাইরে থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রায় প্রায় দেড়শ খানি পানের বরজ ধান মাছের ভেড়ি প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ তারা বন্যার জলে আটকেও রয়েছেন। আস্তে আস্তে করে জল নামলে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হবে। বন্যা দুর্গত এলাকার দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।