নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবারতি গোস্বামী, কলকাতা :
বেঙ্গালুরুতে সহকর্মী তরুণীকে খুন করে ৩০ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল। এই নৃশংস খুনের কথা আর একবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের কথা |এবার বুধবার উড়িষ্যা থেকে মিলল এই হাড় হিম করা খুনে অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়ের দেহ। বুধবার উড়িষ্যার ভদ্রক জেলায় একটি গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।তার ডায়েরি থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে কার্যত খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের। মুক্তিরঞ্জন নিহত তরুণীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
সূত্রের খবর, বুধবারই উড়িষ্যার পান্ডীতে নিজের গ্রামে যায় অভিযুক্ত | তারপর থেকে দিনটা সে বাড়িতেই ছিল। সন্ধ্যা বেলার দিকে অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মোটরসাইকেলে চেপে। রাত অনেক গড়ালে বাড়ি না আসায় শুরু হয় খোঁজ। রাতেই বাড়ির নিকটবর্তী স্থানের একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তার দেহ এবং ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ। আর সেই ডায়েরিতেই বছর ২৬ এর তরুণী মহালক্ষ্মীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সে।
সূত্র বলছে, তার ডাইরিতে লেখা ছিল ” আমি আমার প্রিয়তমা মহালক্ষী কে ৩রা সেপ্টেম্বর খুন করি | |প্রতিনিয়ত আমি লাঞ্ছিত হচ্ছিলাম মহালক্ষীর থেকে।তার আমার প্রতি এই বিরূপ আচরণ আমার সহ্যের সীমা পার করে ফেলেছিল|”
শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি এক কামরার ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ত্রিপুরার এক তরুণীর ৩০ টুকরো করা দেহ। নিহত তরুণী মহালক্ষী বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকায় থাকতেন। নিহত ২৬ বছরে তরুণীর সঙ্গে আত্মঘাতী অভিযুক্তের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। আর সেই প্রণয়ের সম্পর্কের টানাপোড়ানোর জন্যেই ঘটলো হাড় হিম করা ঘটনা।
দিনে দিনে বাড়ছে সম্পর্কের টানা পোড়েনের জন্য খুনের ঘটনা। এইসব খুনের ঘটনার বেশিরভাগ শিকার হচ্ছেন মহিলারা। যার রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে সভ্য সমাজকে।