মনের মানচিত্রে সাজানো তোমার নাম : চৈতালী দাসমজুমদার।

0
18

ভারতবর্ষের মানচিত্রের উপর ফেলুদা নামটা বড় বড় হরফে লেখা।
তুমি সেখানে ইস্পাত হয়ে রয়ে গেছো।

তুমি কতবার বলেছ ভালোবাসার কাছে এমন কেউ নেই যে হার মেনে যেতে পারে।
সব হেরে গেলেও সব শেষ হয়ে গেলেও ভালোবাসা পড়ে থাকে নিখাদ ভালবাসার চিহ্ন হয়ে।

বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলে মৃত্যুর সাথে দেখা করবে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন আয় আমার কাছে আয় তিন পাত্তি খেলি দুজনে।

পাখি হয়ে সমুদ্রের কোলে বাসা বেঁধে সারাদিন ধরে সমুদ্রের ঢেউয়ের খেলা দেখতে চেয়েছো,

ঢেউয়ের ওপর ,নিচ, উঠানামার পথে নীলাভ জলের এর মধ্যে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চেয়েছো।

ফকির সেজে শিশুদের নিয়ে গেছো মনিমালার দেশে,
কি করে স্বপ্ন আঁকতে হয় দেখাতে।

কতবার অবহেলা সেজে তোমার দরজায় কড়া নাড়া দিয়েছি ।
নিজে হাতে দরজা খুলে দিয়েছো সহ্য করেছো আমার অমানবিক অবহেলা ।
তখনো তোমার মুখে ছিল অম্লান হাসি ঠিক সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মত।
নানা সমস্যার জট তুমি নিজে হাতে খুলেছ,
হাসতে হাসতে খেলতে খেলতেই ঘুরে বেড়িয়েছে পৃথিবীর সর্বত্র।
তোমার প্রাপ্য ভালোবাসা যতটুকু ছিল তার থেকে হয়তো অনেক অনেক বেশি ভালোবাসা পেয়েছো তুমি সবার কাছ থেকে।
তোমার ছুটির ঘন্টা আসন্ন , সেটা হয়তো তুমি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলে তাই সবার কাছ থেকে অনুনয়-বিনয় করে ছুটি চাইছিলে।
কদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে হঠাৎই চলে গেলেন না ফেরার দেশে ।
সেখানেও তুমি আবার শুরু করো তোমার কবিতা লেখা।
লেখ তোমার কাব্যিক কবিতায় প্রেমের ঝর্না, বয়ে যাওয়া নদী, আকাশের তারা ,আর লেখো চোখে চোখে ভালোবাসার গোপন রহস্য।
Copywriter@১২৩৪ chaitalidas।