অবচেতন অনুভবে মৃত্যুর রঙ জানতে চেয়েছিলাম মৃত্যু গামী এক পথিকের কাছে।
সে আমার চোখের দিকে কেমন যেন ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে দেখেছিল । উত্তর দেয়নি।
চোখ তুলে তাকিয়ে ছিল দূরে আকাশে সৃষ্টিকর্তার দিকে …..
সেও নীরব দর্শক ছিল।
আমার দিব্যদৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছিলাম মৃত্যুর রঙ কখন মনে হয় লাল হয় আবার কখনো ধূসর ছাই রঙের ধোঁয়ার মত।
রক্ত সাগর পাড়ি দেবার বিবরণ দিতে গিয়ে দেখেছিলাম বাসের চাপায় পড়ে থাকা একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ।
তার রক্তনালী শিরা-উপশিরায় দেখেছিলাম মহা সমুদ্রের ঢেউ খেলানো মৃত্যুর রঙ।
রক্তাক্ত হৃদয় মুছে প্রমাণিত হয় মৃত্যুর রঙ কালচে লাল।
রাতের নির্জনতায় অস্ত চাঁদের আলোয় সাজানো বিছানায় শুয়ে থাকা প্রিয়তা মৃত্যুর হাত ধরে শেষ যাত্রার পথে।
শুভাকাঙ্ক্ষী প্রিয় তার তুলসী তলায় জ্বালাতে যায় আলো অবচেতন মনে হঠাৎ নিভে যায় দমকা হাওয়ায়।
দূরে গোরস্থানে শিয়ালের চিৎকার। হয়তো নতুন করে মৃতদেহ আসার সংকেত…………..
চাঁদ তাকিয়ে থাকে বিবস্ত্র মৃত্যুমুখী নারীর দিকে, তার চোখে পাওয়া না পাওয়ার হাজার তৃষ্ণা তবুও দূরে মৃত্যু দেয় হাতছানি………………
চলে যেতে হয় প্রাণ প্রিয় শরীরকে ছেড়ে।
যাবার সময় বহুকষ্টে বলে যায় ….
“মৃত্যুর রঙ বলা বড়ই কষ্টকর”………….
সমাজের কাছে বৃহৎ কোন দাবি আদায়ের ব্রত নিয়ে মৃত্যুর রং জানতে মৃত্যু গামী মানুষের পিছু নিতে হয়।
শেষ পর্যন্ত নীল নীলিমায় ভেসে আসা আন্দোলনের ডাকে………..
পৌঁছে যাই স্বর্গরাজ্যের বিচারকক্ষে।
শুধুমাত্র সঠিক মৃত্যুর রঙ জানার জন্য……
কল্পনায় ডুবে যায় রক্তের রং জানার প্রশ্ন হারিয়ে যায় নাম না জানা কোন পাখির তন্দ্রাহীন চোখে।
Copyright@1234chaitalidas