রোদ উঠতেই হাসি ফুটল মণ্ডপ শিল্পীদের মুখে!

0
16

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দুর্যোগের মেঘ সরিয়ে রোদ ঝলমলে পরিবেশ গত শনিবার সকাল থেকেই। আর তাতেই হাসি ফুটল মণ্ডপ শিল্পীদের মুখে। বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। বর্তমান সময়ে দুর্গা পূজা মানেই ঠাকুর প্যান্ডেল থেকে প্রতিমা সবেতেই চমক দিতে মরিয়া পূজো উদ্যোক্তারা। ফলে শুধু বড় শহর নয় বড় শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছোট শহর, ছোট শহর থেকে মফসল সর্বত্রই থিম পুজোর ছড়াছড়ি। বড় বড় প্যান্ডেলে পুজোর আগে দম ফুরসৎ থাকে না মণ্ডপ শিল্পীদের। তার ওপর পুজোর আগেই টানা বৃষ্টি কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে,২ অক্টোবর মহালয়া দিয়েই দেবীপক্ষের সূচনা। মাঝে মাত্র আর দু-তিন দিন তারপরেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। প্রাক পুজোর দোরগড়ায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সর্বত্রই বৃষ্টির কারণে থমকে দাঁড়ায় মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নির্মাণের শেষ মুহূর্তের কর্মব্যস্ততা। বিশেষ করে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন মণ্ডপ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। কারণ টানা বৃষ্টি তাদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বৃষ্টির কারণে সমস্যাই পড়েন তারা। শনিবার দুর্যোগের মেঘ কেটে পরিষ্কার আকাশ হতেই কার্যত খুশি মণ্ডপ শিল্পীরা।
দুর্গাপুজোয় তমলুক শহরেও থিম পুজোর ছড়াছড়ি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরের এরকম একটি বিগ বাজেটের পুজোর মণ্ডপ সজ্জাকারী শিল্পীরা বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছেন। বৃষ্টির ফলে কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। শনিবার থেকে রোদ উঠতেই থিম প্যান্ডেল সজ্জার কর্মব্যস্ততা চোখে পড়ে। এমনকি সময়ে কাজ শেষ করার জন্য বাড়তি লোক লাগানো হয়েছে মণ্ডপ সজ্জার কাজে। এ বিষয়ে এক মণ্ডপ শিল্পী জানান, “বৃষ্টির কারণে কাজে অনেকটাই দেরি হয়েছে। কাজ শেষ দেওয়ার জন্য বাড়তি লোক লাগানো হয়েছে। তাতে কিছুটা ক্ষতি হলেও কিছু করার নেই। দুর্যোগ কাটিয়ে রোদ উঠতেই স্বস্তি এনেছে।”প্রসঙ্গত এবার প্রাক পুজো ও পুজোর মুখে পরপর বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সমস্যায় পড়েছেন প্রতিমা শিল্পী থেকে মণ্ডপ শিল্পীরা। টানা বৃষ্টি বারবার কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শরতের নীল আকাশ আর রোদ উঠতেই দ্রুতগতিতে মণ্ডপ সজ্জার কাজ শেষ করতে চান শিল্পীরা। কারণ আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। ফলে কিছুটা ক্ষতির মুখ দেখলেও বাড়তি লোক লাগিয়ে থিমের প্যান্ডেলের কাজ শেষ করতে মরিয়া মণ্ডপ শিল্পীরা।