আজ ‘বিশ্ব নিরামিষ দিবস’, পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে ভেগানদের সংখ্যা, ভেগান শব্দটির সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় নেই। নিরামিষাশীরা যখন প্রাণীজাত সমস্ত খাবারের সঙ্গে আড়ি করেন, তখন তাদের বলে ভেগান। অর্থাৎ শুধু মাছ মাংস নয় ভেগানরা ডিম, দুধ আর দুধের যে কোনও খাবার যেমন ছানা, দই, পনীর, সন্দেশ, রসগোল্লাও খান না।
তার মানে, খাবারের প্লেটে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মধু কিছুই থাকবেনা।ভিগানিজমে বিশ্বাসীরা এটাকে নিয়ে গেছেন আরও দূরে যেমন চামড়া, উল বা মুক্তার মতো বিষয়গুলো থেকেও দুরে থাকতে হবে।এটাকেই বলা হয় ভিগানিজম, প্রতিনিয়ত এতে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
প্রাণীর শরীর থেকে যেহেতু অনেক ধরনের ভাইরাস ছড়ায় এবং তা অতিমারির রূপও ধারণ করতে পারে, ফলে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের একাংশ জোর দিচ্ছেন প্রাণীজ প্রোটিন বর্জন করার উপর।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের অনেকেই বলেন, নিরামিষ খেলে নাকি বেশিদিন বাঁচা যায়।
ভিগানুয়ারি একটা ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা যারা জানুয়ারি মাসে ভেগানিজমে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য মানুষকে সহায়তা করে। তারা বলছে, প্রতি বছরই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৯ সালে ১৯০ দেশের আড়াই লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছে।
যেহেতু প্রোটিনের বিকল্প উৎস আছে বাজারে সে কারণে ভিগানিজম বৈশ্বিক ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। ভেগানিজমের কেন্দ্রে রয়েছে প্রাণী জগতের প্রতি ভালোবাসা। পশুহত্যার বিরোধী অনেকেই এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন। বলা হয়, হিপিদের কারণেই নাকি এই ডায়েট সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে। শান্তির বাণী ছড়ানোর জন্য তাঁরা প্রাণীজাত খাবার বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। ভারতেও এই ডায়েট ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে।এই খাদ্যাভ্যাসে যেহেতু কোনও রকমের মাংস, মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যায় না, তাই এগুলো থেকে যে ফ্যাট আসে, সেটাও শরীরে প্রবেশ করে না। অনেক রোগব্যাধিও যে কারণে শরীর থেকে দূরে থাকে। তাই রোগা হওয়ার চেষ্টায় অনেকেই এই ডায়েট মেনে চলেন। ‘ভেজিটেরিয়ান’ শব্দের প্রথম তিনটি ও শেষ দু’টি অক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ভেগান’ (Vegan) শব্দটি। ১৯৪৪ সালে যুক্তরাজ্যের ডাল্টন ওয়াটসন প্রতিষ্ঠা করেন ভেগান সোসাইটি। মি. ওয়াটসনই ‘ভেগান’ শব্দটির প্রচলন ঘটান।
প্রতি বছর বিশ্ব নিরামিষ দিবস পালনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নিরামিষ খাবারের প্রচারই নয়, পরিবেশ ও প্রাণীর সুরক্ষার পাশাপাশি নিরামিষ খাবারের উপকারিতা সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করা।
।।তথ্য সংগৃহীত : ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।