আমাকে তুমি কখনও একলা করো নি,
হয়তো খুব ব্যস্ত দিনে ভুলে ছিলে আমায়;
আমার গল্পগুলো ছিলো বাঁধভাঙা নদী, আপনমনেই বয়ে যেতো!
কাঠগোলাপ গাছটার নিচে বাঁধানো জায়গাটায় বসে হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে বলেছিলে, ইচ্ছেগুলোয় শিকল বেঁধো না ।
বলেছিলে, ভালোবেসে ভালোবাসার ডাকনাম ধরে ডাকতে !
বোধহয় আমি হদ্দ বোকা,
এখন আমার রাত আর অতীত দুই বড্ড গভীর!
বৃষ্টির ছোঁয়াচ মেখে নেয় অগুনতি নোনাজল…
কল্প শ্রাবণে ভেজে নি কখনও আমাদের গেরস্থালি,
আসলে কিছু রেখা করতলে রয়ে যায় অস্পষ্ট অগভীর।
আগলে রাখার কথা ছিলো দুজনের,
তুমিহীন আমিটা এখন শেষের কবিতার পাতার ভাঁজে একলা!
নিখোঁজ আমার ঘরের কোণ আর পদ্মপাতায় মন…
তুমি ঠেলে দিলে ঘুম না আসা চোখ হেঁটে বেড়ায় মনপাড়ার অলিগলি!
রাত যায়, বিন্দু বিন্দু নিঃশ্বাসে মৃত্যু বুনি!
আমিও পুড়ছি, তুমি পোড়াচ্ছো যত!
ময়ূরপঙ্খী নকশা তোলে আবেগ কলম,
হতে পারি একটা চিঠি…
চিঠির ঠিকানা অচিনপুর,
গল্প ভেজাক আলতা পায়ের নূপুর!!