সকাল হলেই রান্নাঘরে ভাত চাপানোর তাড়া
মাছের ঝোলের মশলা দেখায় সাধের শীলনোড়া।
ফ্যান ঝরাতে হাত পুড়ছে এই কপালে ছিল?
কাজের লোক লুডো খেলে কেন প্রভু বলো।
বাটির চা উথলে ওঠে ককিয়ে ওঠে কাপ
কবিতার খাতা শিকেয় তোলা মনে মনে অনুতাপ।
কড়ার তেল ছিটকে এসে পোড়ায় সাধের মুখ,
খুন্তি হাতে নৃত্য করি জ্বলে সারা বুক।
পেঁয়াজ কুচি কাঁদায় আমায় লঙ্কায় জ্বলে হাত
রসিয়ে খেয়ে সবাই বলে কেয়াবাত, কেয়াবাত।
এক করোনা পাল্টে দিলো সাধের এ জীবন,
আবডালে সব মুচকি হাসে কোথায় প্রিয়া আপন,
বাপের বাড়ি কাঁদছে সেও, বাস,ট্রেন সব বন্ধ-
কতদিন দেখিনি তারে ,হারিয়ে গেছে আনন্দ।
পথহারা পাখির মতো কেঁদে, কেঁদে সাড়া
কেউ যে আজ লুটছে ওগো ,কেউ যে মনোহরা
বাহুবলির দম্ভে আজ বিশ্বমাতা কাঁদে –
চিরদিন সমান না যায়,পড়বে দ্রুতই ফাঁদে ।
এতো মৃত্যু, চোখের জল , স্বজনহারার ব্যাথা
আগামী দিনের ইতিহাস লিখবেই এ কথা।
সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।