চাঁদের আলোয় মশাল জ্বালিয়ে চা পাতা তুলল আলিপুরদুয়ারের মাঝের ডাবরি চাবাগানের শ্রমিকরা।

0
7

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- একে লক্ষ্মী পূর্ণিমা, তার উপর লক্ষ্মীবার ( বৃহস্পতিবার)। ফলে এই সুযোগ এবারও হাত ছাড়া করল না আলিপুরদুয়ারের মাঝের ডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। চাঁদের আলোয় মশাল জ্বালিয়ে চা পাতা তুলল আলিপুরদুয়ারের মাঝের ডাবরি চাবাগানের শ্রমিকরা। পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে প্রায় ১১৫ জন চা শ্রমিক চাপাতা তুললেন। এদিন সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চাপাতা তোলা হয়েছে। কিন্তু কেন পূর্নিমার রাতে চাগাছের দুটি পাতা ও একটি কুড়ি তোলার উদ্যোগ?

চা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর অন্যান্য গাছের মতো চাগাছ পাতায় তার খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। বিজ্ঞানের ভাষায় চাগাছের পাতায় খাদ্য তৈরির এই প্রক্রিয়াকে সালোকসংশ্লেষ বলা হয়। আর এই সময় চাগাছের পাতায় নাইট্রোজেন ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমান বেড়ে যায়। আর ভরা পূর্ণিমায় চাগাছের পাতায় অন্যান্য গুনাগুনের পরিমানও বেড়ে যায় । ফলে এই সময় চাগাছ থেকে ছিড়ে আনা চাপাতা থেকে তৈরি চা স্বাদে , গন্ধে ও গুনে হয় অতুলনীয়। সেই কারণে ভরা পূর্ণিমায় চাপাতা তুলে সেই চাপাতা থেকে চা তৈরি করে আলিপুরদুয়ারের মাঝের ডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এই সময়ে তোলা চাপাতা থেকে তৈরি চা বাজারে ‘ ফুল মুন টি ‘ নামে পরিচিত। স্বাদে , গন্ধে ও গুনাগুনে এই চায়ের কোন তুলনা হয় না।

এদিন এই ফুল মুন টি তৈরি উপলক্ষে মাঝের ডাবরি চাবাগানে ছিল একেবারে সাজো সাজো রব। এদিন মশাল জ্বালিয়ে কপালে সার্চ লাইট লাগিয়ে পূর্ণিমার আলোতে চাপাতা তুলেছেন চা শ্রমিকরা। এক অনাবিল সুন্দর দৃশ্য তৈরি হয়েছিল মাঝেরডাবরি চা বাগানে। যা দেখতে এদিন ভির করে আশপাশ এলাকার মানুষেরা।