গত কাল শিক্ষা মন্ত্রির বিজয় সন্মেলনি অনুষ্ঠানেদুই মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ দলীয় কর্মীর।

0
22

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে। প্রসঙ্গত রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়া আর সম্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। সেইমতো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও আয়োজন করা হয় বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠান। বিজয়া সম্মেলনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতৃত্ব বিপ্লব মিত্র। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী , বিধায়ক তরাফ হোসেন মন্ডল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল প্রমূখ। আর সেই সভাতেই দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলীয় কর্মীর ক্ষোভ। এ যেন এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইঙ্গিত। সভাতে বিপ্লব মিত্রকে বক্তব্যের জন্য আহ্বান করা হয়। ঠিক সেই সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে এক তৃণমূল কর্মী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তার কিছু বলার আছে। মঞ্চে তখন বিপ্লব মিত্র তার কথা জানতে চান। জানাজায় ওই ব্যক্তির নাম নুর আলম মিয়া নুর আলম মিয়া। তিনি নিজেকে জয় হিন্দ বাহিনীর লোক সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও ব্রাত্য বসু কে তিনি জানান “আমাকে এবং আমাদের সংগঠনকে কোন কিছুতেই ডাকা হয় না এবং কি কাজ করতে দেওয়া হয় না” তিনি রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র আশ্বাস দেন আর সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পাশাপাশি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র তিনি মাইক হাতে তার বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। আর২ মন্ত্রী উপস্থিতিতে দলীয় কর্মীর এমন কার্যকলাপ দেখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। দলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সামনেই বিধান সভা নির্বাচন ঠিক তার আগে তৃণমূল দলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতৃত্ব বিপ্লব মিত্র সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন কোনো গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব না। বিষয়টা দেখা হচ্ছে।