পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- রাজ্যের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম তৎপরতা জেলা প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই সমস্ত দপ্তর নিয়ে সারা হয়েছে বৈঠক। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদেরী ও জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, যে সমস্ত এলাকায় সব থেকে বেশি প্রভাবিত হতে পারে সেই এলাকার থেকে সরানো হচ্ছে মানুষদের। দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশের তরফে খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোলরুম। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ওড়িশা সীমান্তে মোতায়েন থাকছে চারটি এসডিআরএফ ও একটি এনডিআরএফ টিম। পাশাপাশি থাকছে মোবাইল কন্ট্রোল ইউনিট এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের বিশেষ দল। প্রতিটি এলাকাতেই স্বাস্থ্য দপ্তরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের ট্রী কাটিং টিমকেও তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর জন্য লাগানো বড় বড় হোডিংকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত ১০০০ এর বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। দুর্যোগের দিনে যাতে সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে সেজন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, ডানার দাপটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চলতি সপ্তাহের বুধবার ভারী বৃষ্টি ও বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ডানা ধ্বংসলীলা চালাতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হলেও জেলায় জিরো ক্যাজুয়ালটি রাখার চেষ্টাই চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর,দাঁতন, কেশিয়াড়ি...