সুমনা যাচ্ছে বিজেপিতে?তৃণমূলের সাথে দূরত্ব বাড়ছে! সুমনা মহাপাত্র ও সৌমেন মহাপাত্রের, স্ত্রীর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে কিছুই জানেন না স্বামী।জোর কোন্দল জেলায়, নীরব শীর্ষ নেতৃত্ব।ভবিষ্যতে কি দল পরিবর্তনের ইঙ্গিত??

0
137

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সুমনা যাচ্ছে বিজেপিতে?তৃণমূলের সাথে দূরত্ব বাড়ছে! সুমনা মহাপাত্র ও সৌমেন মহাপাত্রের, স্ত্রীর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে কিছুই জানেন না স্বামী।জোর কোন্দল জেলায়, নীরব শীর্ষ নেতৃত্ব।ভবিষ্যতে কি দল পরিবর্তনের ইঙ্গিত?? সূত্রে খবর, লকডাউনের শুরু থেকে পাঁশকুড়া শহরের দুঃস্থ ও ভবঘুরেদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি থেকেই মতবিরোধ শুরু। তখন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্রের সাথে। পাঁশকুড়ায় ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত উপ পুরপ্রধান সইদুল ইসলাম খান এবং তাঁর দাদা তথা সংখ্যালঘু নেতা জইদুল ইসলাম খানের সাথে।
এর পরে ও একাধিক বার ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের সাথে নানা কারণে দ্বিমত ও দূরত্ব রেখে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও স্ত্রী।
দুমাস আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন । তা সত্ত্বেও দল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বরং মৌনব্রত পালন করেছেন এখন পর্যন্ত। তাই এই মৌনতাই আবেদনের সম্মতির লক্ষণ বলে মনে করে পদ থেকে সরে যাওয়ার সিধান্ত নিয়েছেন সৌমেন জায়া।
শনিবার রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রামে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে তাঁকে দেখা যায়নি প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন কে। দূরত্ব যে বাড়াচ্ছেন তা এবার স্পষ্ট হচ্ছে। বিধায়ক তো দল নয়। আজ আমি বিধায়ক আছি ।২০২৬ সালে ও হয়তো অন্য কেউ বিধায়ক হবেন। এই সব কথা বিভিন্ন মহলে আলোচনা অন্দরের ক্ষোভ বেড়েছে। সব থেকে বড় ক্ষোভ হয়েছিলো আর জি কর কাণ্ডে তার ছেলের নাম জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে অপপ্রচার চলছিল তাতে দল কে সে ভাবে পাশে পাননি। উপরন্তু দলের লোক আরো বেশি করে এটা ছড়িয়ে দিয়ে সাহায্য করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক বৈঠক ও করেন দু জন।
সব মিলিয়ে শাসক দল তৃণমূল যে অধিকারী জমানার ইতি ঘটিয়েছে যেমন! ঠিক তেমনি মহাপত্রদের হাত থেকেও রাস কেড়ে নিচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।