দিতে পার কি যতটুকু চাই ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

0
9

আলো খুঁজতে খুঁজতেই আকাশে অন্ধকার আসে,
সূর্য হাসে,একসময় ছুট দেয় পশ্চিমে ।
ফাল্গুনের যৌবনপ্রাপ্ত বসন্ত প্রেম খোঁজে-
অলি,গলির ফাঁক, ফোকরে,তীক্ষ্ণ নজরে।
পোকায় ধরা ক্ষয়াটে কালচে দাঁতের ফাঁকে নির্লজ্জ হাসি।

সময়ের ঝড়ে এলোমেলো সবকিছু,
দিগন্ত থেকে দিগন্তে আলো মাখে ধুলো,
হাড় বের করা বুকে দুর্বল ধুকপুক, বুড়ি ছুঁয়ে থাকে-
কোনমতে। সবলের আস্ফালন শুনতে শুনতে
হেঁটে যায় প্রতীক্ষা,লালা বয়ে বাসা বাঁধে দামি, দামি গুটিপোকা।

তবুও দীপ্ত পায়েই হেঁটে চলা, কথা বলা,ছলাকলা,
প্রাত্যহিক কাস্তেতে শান দিয়ে দিয়েই দীর্ঘ অপেক্ষা,
বুকের কোন থেকে রিনিরিনি শব্দে সুরে সুরে গান গায় স্বপ্ন।
দীর্ঘ ধৈর্য আর অপেক্ষারা পাশা খেলে সময় কাটায় হৃদয় চত্বরে।
মাঝে মাঝেই মনে পড়ে চরকা কাটা বুড়ির চুল ,ফেলে আসা বাল্য।

রবীন্দ্রনাথ জেগে ওঠেন করুন সুরে,,জীবনানন্দের বনলতা সেন
ক্ষয়াটে শরীরে কোনমতে বুকে চেপে রাখেন একতাল মাংসপিন্ড।
ছেঁড়া গেঞ্জির উচ্ছাসের বুকপকেটেখুচরো পয়সা আওয়াজ তোলে- আর বলে ,আমিই প্রেম,আয়ু,মহাজীবন কিছুক্ষণ বেঁচে থাকা।
আমিই লাঠির মাথার ঝান্ডা,মিছিলের গতিপ্রকৃতি,দিকনিরূপন ।

একে একে ঘুরে যায় কাল চক্রের চাকা,
সত্যি,মিথ্যা,মিথ্যা,সত্যি পাক খায় ক্রমান্বয়ে ।
সময়ের ঝড়ে এলোমেলো আজ বিশ্বাস শেষ ফাগুনের বিকালে,
রক্তাক্ত পদাতিক,মিছিলে মিছিলে শ্লোগান তোলে –
একমুঠো আলো দাও, ফিরিয়ে দাও বিশ্বাস ,হাসতে দাও নিশ্চিন্তে …….।