পঞ্চায়েত জুড়ে একাধিক দুর্নীতি সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের অনিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে আসা অভিযোগ কে কেন্দ্র করে গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে বিক্ষোভের শামিল হল এলাকার বাসিন্দারা।

0
13

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—পঞ্চায়েত জুড়ে একাধিক দুর্নীতি সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের অনিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে আসা অভিযোগ কে কেন্দ্র করে গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে বিক্ষোভের শামিল হল এলাকার বাসিন্দারা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মালদার মানিকচক ব্লকের দক্ষিণচন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। পঞ্চায়েত জুড়ে সর্বত্রই দুর্নীতি হচ্ছে এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি পঞ্চায়েতে আসছেন না প্রধানসহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীরা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এমত অবস্থায় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী ক্ষোভ বিক্ষোভে শামিল হয়। দ্রুত প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক দাবি ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীর।

মালদার মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রধান শক্তি মণ্ডল।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্যায় প্লাবিত ছিল গোটা ভূতনির সাথে এই দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। গত প্রায় দুই মাস জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী হয়েছে এলাকার মানুষ। বর্তমানে জল নামলেও মানুষ নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। ফলে সেই সমস্ত সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত চত্বরে এলাকার মানুষ আসলে দেখা মিলছে না কোন সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধানদের। পঞ্চায়েতে কর্মীদের না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত হতাশ হতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। এমত অবস্থায় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী বুধবার বিক্ষোভে সামিল হয়। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত জুড়ে বর্তমানে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ভুয়ো বিল করা হয়েছে। সরকারি টাকা তছরুপ করেছে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা। মানুষ নূন্যতম পরিষেবার জন্য পঞ্চায়েতে আসলেও খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। সামান্য কোন কাজ করাতে হলে টাকা পর্যন্ত পঞ্চায়েতে দিতে হচ্ছে। দেখা মিলছে না কারোরই এমত অবস্থায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখান। যদিও ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী গোটা অভিযোগ ব্লক প্রশাসনের কাছে জানাবেন বলেই জানিয়েছেন তারা।

পঞ্চায়েতের এক কর্মী কল্পনা সাহা বিভিন্ন কাজ করাতে আসা মানুষদের কাছ থেকে 50 টাকা করে নিচ্ছেন বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গোটা অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত কর্মী কল্পনা সাহা জানিয়েছেন, প্রধান তাকে নির্দেশ দিয়েছে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের কাজের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়ার। সেই নির্দেশ মতো তিনি নিচ্ছেন। কি কারণে নির্দোষ দিয়েছে কি উদ্দেশ্য রয়েছে সমস্তটা প্রধানই বলতে পারবে বলেই দাবি তার।

যদিও গোটা বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান শক্তি মণ্ডলের সাথে ফোন মারফত বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রধানের বাবা মারা যাওয়ায় পারিবারিক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি এমনটাই জানা যাচ্ছে।