রামনগর থেকে দীঘা কাঁথি থেকে তমলুক কালীপুজোর প্রতিমা গড়তে সমস্যায় শিল্পীরা, আবহাওয়ার খামখেয়ালী!

0
6

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সময় কম, আগুন জ্বেলে-ফ্যান চালিয়ে চলছে প্রতিমা শুকানো
ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক কাটতেই নয়া চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা ৷ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শুকাচ্ছে না প্রতিমা ৷ অর্ডার সাপ্লাই নিয়ে চিন্তায় মেদিনীপুরের শিল্পী রা ৷

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ৷ তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীরা । হাতে মাত্র তিনটে দিন বাকি, তারপরই কালীপুজো ৷ এখন তড়িঘড়ি আগুন জ্বেলে ও ফ্যান চালিয়ে জোরকদমে চলছে প্রতিমা শুকানোর কাজ ।সামনেই কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজো ৷ তার কিছুদিন আগেই এহেন স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ার জেরে বিপাকে পড়েছে জেলার মৃৎশিল্পালয়গুলি ৷ আসন্ন দুটো বড় পুজোর প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটায় চিন্তিত শিল্পীরা ৷ বিগত তিনদিন ধরে এহেন আবহাওয়ায় প্রতিমা শোকাতে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার অবস্থা ৷ মাঝে মাঝে বৃষ্টি আসায় প্রতিমা বের করে রোদেও দেওয়া যাচ্ছে না ।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সমস্যায় মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীরা
এই অবস্থায় মণ্ডপ কর্তাদের হাতে কীভাবে প্রতিমা তুলে দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা । মেদিনীপুর শহরের ধর্মার একটি মৃৎশিল্পালয়ে দেখা গেল তেমনই ছবি ৷ চটজলদি প্রতিমা শুকানোর জন্য একদিকে আগুন জ্বেলে মূর্তি পোড়ানোর এবং মাটি শুকানোর কাজ চলছে, অন্যদিকে এক ও একাধিক টেবিল ফ্যান চালিয়ে চটজলদি প্রতিমা শোকানোর কাজ চলছে ৷ কারণ প্রতিমা ভালো করে না শোকালে রং করা যাবে না ৷

সকলেই চাইছেন আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠুক ঝলমলিয়ে ।এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী বলেন,”আমরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছি । প্রতিমা কিছুতেই শুকাচ্ছে না । এই আবহাওয়া যেমন ক্ষতি করেছে চাষাবাদে, তেমনি ক্ষতি করেছে আমাদের । এবারে প্রায় 65টি ঠাকুরের অর্ডার রয়েছে । কিন্তু রোদ না উঠলে এই প্রতিমা শুকিয়ে তৈরি করে দেওয়া যাবে না । তাই আমরা চেষ্টা করছি ফ্যান চালিয়ে যাতে মাটির কাজগুলো চটজলদি শুকনো করা যায় ৷ তবেই প্রতিমার রং করা যাবে ৷”