দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- স্বাধীনতার সাতাত্তর বছর পরেও বেহাল রাস্তার দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া এলাকার মানুষদের। বর্ষা এলেই মসজিদপাড়া, চুনিয়াপাড়া, উত্তরপাড়া ও আদিবাসী পাড়ার প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার জীবন হাঁটু-জলে ডুবে যায়। রাস্তা এতটাই ভেঙে পড়ে যে ছ’মাস বন্ধ রাখতে হয় বিয়ে, অন্নপ্রাশন সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। সোমবার সকাল থেকে কংক্রিটের রাস্তার দাবিতে ফকিরগঞ্জ মোড়ে পথে নামলেন চার গ্রামের বাসিন্দারা। বৃষ্টির জমা কাদায় ধান গাছ লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় এমন কাদা হয় যে সাইকেল-বাইক দূরের কথা, হেঁটেও চলা মুশকিল। একমাত্র রাস্তাটি এমন ভেঙে পড়েছে যে রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। বর্ষার সময়ে পড়ুয়াদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে পড়ে গ্রামের সামাজিক জীবনযাত্রাও।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ , ‘বছরের পর বছর কেবল আশ্বাসই পেয়েছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখানে কোনো রাজনীতি নেই, আমরা সবাই—হিন্দু-মুসলিম মিলে—এই যন্ত্রণার বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়ছি। আমরা আর আশ্বাস চাই না, আমরা কংক্রিটের পাকা রাস্তা চাই।’ যদিও প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিডিওর আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি, উঠে যায় অবরোধ। যদিও গ্রামবাসীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এবার শুধু আশ্বাসে কাজ হবে না। রাস্তায় ঢালাই না হলে আমরা আবার পথে নামব।’