দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- এক সময়ের বালুরঘাটের বোলদাবাড়ি আজ রঘুনাথপুর নামে পরিচিত। সে সময় এই অঞ্চল জঙ্গলে পূর্ণ ছিল। সেই জঙ্গলেই তারা কালীর পুজো শুরু হয়।
ইতিহাস গবেষক ও শিক্ষক ডঃ সমিত ঘোষ জানিয়েছেন – জনশ্রুতি আছে যে, ডাকাতরা এই পুজো শুরু করে। এখন এই ডাকাতরা কি শুধুই ডাকাত না কি বিপ্লবী, স্বদেশী, না কি স্বাধীনতা সংগ্রামী এ নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায় না। বৃটিশ আমলে অনেকে বিপ্লবীদের কে ডাকাত মনে করতো। যাই হোক ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাবার আগে দেবীর কাছে পুজো দিত। ধীরে ধীরে রঘুনাথপুরে গঞ্জ গড়ে ওঠায় মানুষের বসবাস বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে নির্জন জায়গা জনবসতিতে পূর্ন হয়ে ওঠে। তারা কালীর পুজোও সাধারণ মানুষের হাতে চলে আসে। তারা কালীর পরনে বাঘছাল। চার হাতে রয়েছে নানা উপকরন। বৈষ্ণব মতে খুব নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়। এই পুজোয় বলি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। দেবীর কোন স্থায়ী মন্দির নেই, সারাবছর জঙ্গলের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে তারা মায়ের পুজোর বেদীটি পড়ে থাকে। পুজোর দিন খড়ের অস্থায়ী আচ্ছাদন দিয়ে মন্ডপ তৈরি করে মায়ের পুজো হয়।
স্থানীয় এলাকার প্রবীণ নাগরিক অসিত বন্ধু ঘোষ জানিয়েছেন – দীপান্বিতা অমাবস্যার কালী পুজোর দিনই নিয়ম-নিষ্ঠা সহকারে মায়ের প্রতিমা গড়া হয়, বর্তমানে স্থানীয় এলাকার মানুষজন এই পুজোতে যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকেন। পুজো শেষ হলে আকাশে তারা থাকতে তারা কালীকে পার্শ্ববর্তী আত্রেয়ী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানকার তারা কালী পুজো সার্বজনীন বারোয়ারী পুজো হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হয়েছে।