ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়। এই অন্দোলনে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম সারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।
বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়, জন্ম নভেম্বর ৫, ১৮৮৭ । তিনি ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের প্রাথমিক যুগের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা এবং অগ্নি যুগের একজন বিপ্লবী।
বিপিনবিহারীর আদি নিবাস ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহর। বারীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং রাসবিহারী বসু সহকর্মী হিসেবে বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত হন। মুরারিপুকুর, আরিয়াদহ প্রভৃতি বিপ্লবী কেন্দ্রগুলির সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তিনি ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্ব-উন্নতি সোসাইটির সদস্য ছিলেন যা বিপ্লবের প্রাথমিক দিনগুলিতে বিদ্যমান ছিল। ১৯১৪ সালে তাঁর উদ্যোগে রোদা কোম্পানির মাউসার পিস্তল অপহরণ করা হয়। ১৯১৫ সালে, যুগান্তর দল কার্তিক বার্ড কোম্পানির গাড়ি লুট করতে যতীন্দ্রনাথের সাহায্যকারী ছিল। তিনি ১৯২১ সালে কংগ্রেস আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ১৯৩০ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি তার জীবনের প্রায় ২৪ বছর বিভিন্ন কারাগারে কাটিয়েছেন।
তিনি শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস গঠনের পর তিনি বাঙালি প্রাদেশিক সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। প্রথম সাধারণ নির্বাচনে তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিজপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হন।
১৪ জানুয়ারি, ১৯৫৪ সালে মহান এই বিপ্লবী প্রয়াত হন।
।।তথ্য: সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।