বাংলা আধুনিক গানে এমন অনেক শিল্পী ছিলেন যাঁদের গান, যাঁদের নাম বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছে। অথচ একসময় আকাশবাণীর ‘অনুরোধের আসর’-এ রমরমিয়ে বাজত এইসব শিল্পীদের গান। এমনই একজন বিস্মৃত শিল্পী অরুণ দত্ত।
সংক্ষিপ্ত জীবন—
অরুণ দত্ত ব্রিটিশ ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দুই বোন খুব ভালো গেয়েছে। দিদির হাত ধরে গানের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কেশব গণেশ ঢেকালের কাছে বাড়িতেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছিলেন । অনুপম ঘটক’কে কলকাতায় কলেজ জীবনে গুরু হিসেবে পান। এই অনুপম ঘটকের কন্যাকে তিনি বিয়ে করেন। পরে তিনি কমল দাশগুপ্তকেও গুরু হিসেবে পেয়েছিলেন। মেট্রো-মারফি আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় তার অভিষেক। পঁচিশ বছর বয়সে গ্রামোফোন রেকর্ডসে প্রকাশিত যখন চাঁদ ঘুমাবে, রাত ঘুমাবে গানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য আকাশবাণীতে তার গানের প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর মেয়ে মধুরিমা দত্ত চৌধুরীও একজন সঙ্গীতশিল্পী।
জেনে নেবো তাঁর কণ্ঠে গাওয়া জনপ্রিয় গান গুলি –
তাঁর কণ্ঠে গাওয়া জনপ্রিয় গান গুলি হলো – আমি যে প্রদীপ জ্বলিতেই শুধু পারি, যারে ফিরে যা পাখি ফিরে, কুহর কবিতা পৃথিবী যে ওই শোনে, সূর্যে রৌদ্রে পুড়িয়ে নিজেকে, সে জানি না কোথায়, তারে মনে পড়ে যায়, তোমার ওই সাগর চোখে, ওরে ও চম্পাকলি, ও পাখি উড়ে যা ( হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে) পাখি বলে কারে দেবো এ গান ভাবি তাই (হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে), পায়ে চলা পথ যেথায় গিয়েছে ভেঙ্গে, কেন গো পরনি আজ, যদি যাবে চলে যেও।
জীবনাবসান—
বিশিষ্ট বাঙালি এই সঙ্গীতশিল্পী ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৬ই নভেম্বর পরলোক গমন করেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।