আজ সকালে চিঠি এল-
খবর পেলাম লেফাফা খুলে,জীবন সন্ধিক্ষণে –
বেকার নাশে কর্মআশে আমি হরকরার কর্ম পেয়েছি।
দোরে দোরে বার্তা দেওয়া-
পৃথিবীর মনের কথা,সময়ের দুঃখ,হাসি-
ভাঙ্গাগড়ার নিত্যদিনের সংবাদ।
ঝরা পাতার নিত্য চোখের জল-
কাব্যছায়ায় নিশ্চিন্তর আশা আর শব্দ ছায়ায় স্নিগ্ধতার সম্বল।
সবার অব্যক্ত কথা,যত দুঃখ মাঝে জমানো প্রতিবাদ-
ক্রন্দসীর রুদ্ধ শ্রবণে মেঘগর্জনে তরঙ্গায়িতই করাই আমার শেষ কর্তব্য।
প্রহর কেমন আয়েশে,আরামে গভীর ঘুমে অচেতন ,
ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুরতা, বিষাক্ততায় নিত্য হাতছানি ,
ভয়ার্ত ন্যুব্জ মানবিকতার দুহাতে প্রসারিত সাবধান বাণী –
সমানেই বয়ে আনে রোগগ্রস্ত অসহায় শত শত অভিমানী।
আমারই পিঠে,আছে মিঠে মিঠে পদক্ষেপ বার্তাখানি ।
এবার মুক্তির স্বাদে , এ মন কোকোনদে উঠবে ক্ষিপ্ত গজরানী।
সময় দিয়েছে ডাক, আমি তো কর্মে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ,
হোক না শূন্য বাতিস্তম্ভ, দেদীপ্যমান জ্যোৎস্নার আলো মেখে পথের যত খানাখন্দ,যত উঁচু নিচু ঢিবি ,আঁধারেই পথ দেখে
শেষবারের মত বিলাব দোরে দোরে প্রতিশ্রুতির সমস্ত খবরখানি।
তারপর-
আগামী সূর্যোদয়ে আগামীর পথশিশু মুক্তির গান গাইতে গাইতে
চলবে –
আজি কি আনন্দ এ প্রেমভরা বসন্তে ,
ওই দেখ মুক্তির আনন্দাশ্রু ঝরে দিগন্তে ,দিগন্তে।
শঙ্খ,ঘন্টা,কাসর আর আজানের শব্দে আমি-
কর্তব্য অবসানে শেষবারের মতো ঘুমাবো নিশ্চিন্ত,নিরুদ্বেগ,শান্তমনে।
সংরক্ষিত।