সরকারি যোজনা গুলি হল একদিকে যেমন তৃনমুল নেতাদের পয়সা কামানোর রাস্তা : সুকান্ত মজুমদার।

0
13

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- তৃনমুল কংগ্রেস রাজনৈতিক কারনে বা সাংগঠনিক কারনে এই কাজ করে না।প্রচুর লোক তাদের উপরে টাকা পাঠাতে হয়।তা ছাড়া ওদের দলের দলনেত্রীই তো বলে দিয়েছেন উপরে পাঠিয়ে তবেই নিজেরা যেন খায়। তাই সবাইকে ভাগ করে খাওয়ার জন্যই এই ছয় মাস ছয় মাস বা একবছর রোটেশন পদ্ধতি নিচ্ছে তৃনমুল দল। এতে ভোটে বা রাজনৈতিক দিক দিয়ে কোন প্রভাব পড়বে না।অভিষেকের প্রস্তাব মেনে ভোটের আগে তৃনমুল নতুন ইনিংস শুরু করা নিয়ে আজ এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

রবিবার তার সংসদীয় কেন্দ্র বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার শিয়ালদায় অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে তৃনমুল সরকারকে বিধে আরও বলেন, কখনও বোমার মালমশলা কখনও গুলি বন্দুক উদ্ধার নিয়ে দেখে শুনে মনে হচ্ছে তৃনমুল বোধহয় ভারতের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।না হলে একের পর এক এত অস্ত্রশস্ত্র আসছে কোথা থেকে।পাশাপাশি কাথিতে আবাস যোজনা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষন করবার অভিযোগে এক তৃনমুল নেতা গ্রেফতারের ঘটনা প্রসংগ বলেন, এটাই তৃনমুলের কালচার। তিনি বলেন ওই মহিলা সাহস করে বলতে পেরেছেন দেখে বিষয়টি সবাই জেনেছে।তার অভিযোগ কিন্তু এমন অনেক ঘটনাই অজানা থেকেছে গ্রামগঞ্জের মহিলারা লজ্জায় এই সব ঘটনার অভিযোগ সামনে না নিয়ে আসার জন্য।তার আরও অভিযোগ এই সরকারি যোজনা গুলি হল একদিকে যেমন তৃনমুল নেতাদের পয়সা কামানোর রাস্তা।অন্যদিকে তাদের মনোরঞ্জন করার ও একটি সুন্দর পথ।যা বাংলার মানুষ তৃনমুলের সন্দেশখালির মডেল বলে চিনেছে ও জেনেছে।এই মডেলকে হাতিয়ার করেই তৃনমুল বাংলার গ্রামগঞ্জের মহিলাদের যৌন্য নিপিড়ন থেকে নানান অপকর্ম চালাচ্ছে বলে তিনি এদিন সরাসরি অভিযোগ করেন।

পাশাপাশি শিক্ষা দুর্নীতিতে পার্থ চ্যাটার্জি একাই সব দোষ করেছে বলে তিনি মানতে নারাজ। তার দাবি তিনি কেন বাংলার কোন লোক বিশ্বাস করে না পার্থ একা এই দুর্নীতি করার সাহস দেখিয়েছেন।এর পেছনে রয়েছে পাকা ও বড় মাথা। আমরা চাই সিবি আই আসল মাথাদের ধরুক।

ট্যাবের ও লক্ষী ভান্ডারের টাকা অন্য একাউন্টে ঢোকা প্রসংগে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন রাজ্য সরকারটাই বা চলছে কি করে বোঝা দায়।দেখে শুনে মনে হচ্ছে রাজ্যের সরকারটাই হ্যাক হয়ে গেছে তাই এসব ঘটে চলেছে।

খানাকুল গ্রামীন হাসপাতালে ধানের গোডাউন প্রসংগে তৃনমুল নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন উনি নীল সাদা রঙ করে সব সুপার স্পেশালিটিস হাসপাতাল বানিয়েছেন।সেখানে শয্যা ও ডাক্তার না দিতে পারলেও গোডাউন বানানোর ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছেন।এই তো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থ্যার হাল।