দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- স্লট বুকিংয়ে ছাড় দিল রাজ্য সরকার । আজ হিলি স্থলবন্দরে শুরু হল আলু, পেঁয়াজের রপ্তানি। রপ্তানি শুরু হতেই বড়সড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখ থেকে বেঁচেছেন ব্যবসায়ীরা। গত তিনদিনে হিলি স্থলবন্দরে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি শুল্ক দপ্তরের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তরের সুবিধা পোর্টালে পণ্য তথ্য দিয়ে স্লট বুকিং করে বাংলাদেশে রপ্তানি করতে ছাড় পায় ব্যবসায়ীরা। তারজন্য ওই পোর্টালে মোটা অঙ্কের রাজস্ব জমা করতে হয় ব্যবসায়ীদের। রবিবার সকালে আচমকাই ওই পোর্টালে আলু পেঁয়াজের স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আলু পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঘটনার জেরে হিলি স্থলবন্দরে আলু পেঁয়াজের ১৬০টি লরি রপ্তানির অপেক্ষায় থমকে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে আলু পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করে। কিন্তু ওই বন্দরে লরি পৌঁছাতেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পথ আটকায় সুবিধা পোর্টালের কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। ঘটনায় স্থলবন্দরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের চাপে জেলা প্রশাসনের সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। কিন্তু গতকাল স্লট বুকিং শুরু না হলেও বুধবার সকাল থেকে আলু পেঁয়াজের স্লট বুকিং শুরু হয়।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির স্লট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কোনওপ্রকার বিধিনিষেধ না থাকলেও আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভিনরাজ্যের আলু প্রমাণ করে আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত স্লট বুকিং করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তবে পেঁয়াজের জন্য কোনও শর্ত আরোপ করা হয়নি।
বুধবার সকাল থেকে আলু পেঁয়াজ রপ্তানির স্লট বুকিং শুরু হতেই হিলি স্থলবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা ১৬০টি পণ্যবাহী লরিকে রপ্তানি প্রক্রিয়া অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পন্ন করতে সিন্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন। দ্রুততার সঙ্গে আলু পেঁয়াজ রপ্তানি করে বাংলাদেশের বরাত সম্পন্ন করতে মরিয়া ব্যবসায়ীরা।