দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দীর্ঘ ১২ বছর পর অবশেষে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বহুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অভাবের কারণে স্কুল পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিল। আজ থেকে ডিপিএসসিতে (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ) প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নথি যাচাই শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বালুরঘাটে ডিপিএসসি অফিসে শিক্ষকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সূত্র অনুযায়ী, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭১ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। মোট ১১৮৪টি স্কুলের মধ্যে বর্তমানে ৮৪০টি পদ শূন্য। এই শূন্যপদ পূরণের জন্য মোট ১২৬৮ জন শিক্ষক আবেদন করেছেন। নথি যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, আর এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হলো। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নথি যাচাই চলবে। সব নিয়ম মেনে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সিনিয়রিটি অনুযায়ী প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ দেওয়া হবে। আটটি ব্লকের ১৭টি সার্কেলের অধীনে থাকা ১০৮৯টি প্রাথমিক স্কুলের জন্য এই প্রক্রিয়া চলবে।”
তবে, এই দীর্ঘ সময় প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে স্কুলগুলোতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। জেলার অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকার স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা অত্যন্ত কম, যেখানে শহরের স্কুলগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
শেষবার ২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ১২ বছরে শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে ৮৪০তে পৌঁছেছে। এবার আবেদন জমা পড়েছে ১২৮১টি। তবে নথি ভুলের কারণে ৩১টি আবেদন বাতিল হয়েছে। অবশেষে ১২৬৮ জনের নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে।
জেলা জুড়ে শিক্ষকরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। শিক্ষা সংসদ আশ্বাস দিয়েছে, নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত সমস্যাগুলি মেটানোর চেষ্টা করা হবে।